Advertisement
Advertisement

‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, পাকড়াও ‘প্রতারক’

ফেসবুকের মাধ্যমেই শিকারের খোঁজ চালাত অভিযুক্ত৷

One person arrested on fraud case
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 12, 2018 9:43 pm
  • Updated:November 12, 2018 9:43 pm  

অর্ণব আইচ: চাকরি নেই? ভয় কী? তোদের স্বপনদা আছে। শুধু আমার সঙ্গে গেলেই এক নিমেষে চাকরি পাইয়ে দেব ‘সংবাদ প্রতিদিন’ কাগজে। ফেসবুকে এই বার্তা পেয়ে আনন্দে মন ভরে গিয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার শাসনের বাসিন্দা জাহির ইকবালের। কিন্তু তখনও বুঝতে পারেননি আসলে স্বপন ভৌমিক নামে এক প্রতারকের ফাঁদে সহজেই পা দিয়েছে।

Advertisement

[রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য-বিজেপি সংঘাত তুঙ্গে, বিতর্কের জল গড়াতে পারে হাই কোর্টেও]

উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের বাসিন্দা স্বপন ভৌমিক আগেও এভাবে ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক যুবককে প্রতারণা করেছে। কিন্তু তাকে ধরা যায়নি। সোমবার বিকেলে শাসনের দুই তরুণকে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা করার আগেই তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এর কর্মীরা। তাঁরাই ওই ব্যক্তিকে তুলে দেন বউবাজার থানার পুলিশের হাতে। দুই তরুণ তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে স্বপন।পুলিশ জানিয়েছে, জাহির ইকবাল ও তাঁর বন্ধু আকিব আলি দু’জন মিলে চাকরির চেষ্টা করছিলেন। কিছুদিন আগে ফেসবুকে জাহির ইকবালের সঙ্গে স্বপনের আলাপ হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘শিকার’ ধরত স্বপন। সে জাহিরকে আশ্বাস দেয়, চাকরির জন্য ভাবনা নেই। ‘সংবাদ প্রতিদিন’-এ সে তাঁদের চাকরির ব্যবস্থা করবে। তার জন্য তাকে দু’হাজার টাকা করে দিতে হবে। জাহির রাজি হয়ে যান। বন্ধু আকিবকেও বিষয়টি বলেন। এদিন বিকেলে স্বপন তাঁদের চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনের কাছে আসতে বলেন। তাঁদের হাতে ছিল বায়োডাটা।

[মর্মান্তিক! প্রসবের পর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু গৃহবধূর]

জানা গিয়েছে, স্বপনের ‘মোডাস অপারেন্ডি’ ছিল টাকা ও বায়োডাটা নিয়ে ‘শিকার’দের দূরে দাঁড়াতে বলে ‘সংবাদ প্রতিদিন’ অফিসের কাছে ঘোরাঘুরি করা। তারপর সুযোগ বুঝে টাকা নিয়ে পালানো। এভাবেই সে আগেও প্রতারণা করেছে। আগে প্রতারিত হওয়া এক যুবক হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে জোগাড় করা স্বপনের ছবি দিয়েছিলেন কাগজের অফিসের কয়েকজন কর্মীকে। সেই ছবি দেখেই স্বপনের ছবি মনের মধ্যে গেঁথে গিয়েছিল কয়েকজন কর্মীর। এদিন কাগজের অফিসের অদূরে দুই তরুণের সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয় এক কর্মীর। তিনি মোবাইল খুলে ছবি মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হন, এ-ই সেই ‘প্রতারক’। তিনি অন্য সহকর্মীদের খবর দেন। তাঁরাই তাকে ঘিরে ফেলেন। দুই তরুণও স্বীকার করেন, চাকরি দেওয়ার নাম করেই তাঁদের নিয়ে আসা হয়েছিল। এরপরই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement