গৌতম ব্রহ্ম: পুজোর আগেই কর্কটক্রান্তি! ক্যানসার মুক্তির জন্য সরকারি ক্ষেত্রে বাড়ছে অস্ত্রোপচারের পরিধি। পিজি হাসপাতালের হেড-নেক সার্জারি পরিষেবা বাড়ছে। এখন ইএনটির অপারেশন থিয়েটারে একটি মাত্র ওটি টেবিল বরাদ্দ হেড-নেক সার্জারির জন্য। ১ সেপ্টেম্বর থেকে তিনটি টেবিলে অপারেশন হবে। তাও আবার আলাদা করে তৈরি হওয়া হেড-নেক সার্জারির অপারেশন থিয়েটারে। অর্থাৎ একদম আলাদা বিভাগ হিসাবে নিজস্ব অপারেশন থিয়েটার নিয়ে যাত্রা শুরু করবে হেড-নেক সার্জারি বিভাগ।
এমনটাই জানালেন বিভাগের প্রাণপুরুষ অধ্যাপক ডা. অরুণাভ সেনগুপ্ত।তাঁর দাবি, অপারেশনের জন্য লাইন দিয়ে এই মুহূর্তে রয়েছেন প্রায় ২৫৬ জন ক্যানসার রোগী। এখন অপারেশন হলে রোগীদের হয়তো অনেকটাই সুস্থ করে তোলা যাবে। দেরি হলে সবটাই চলে যাবে নাগালের বাইরে।
সোমবার পিজির ইএনটি বিভাগের ছ’তলায় গিয়ে দেখা গেল, নীল-সাদা বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে লাল রংয়ের দু’টি অক্ষর। অপারেশন থিয়েটার। এই অপারেশন থিয়েটারই, এসএসকেএম-এর হেড-নেক সার্জারি বিভাগের। ১ সেপ্টেম্বর থেকে অপারেশন থিয়েটারের বাইরে লাল আলো জ্বলার পর্ব শুরু হবে। এখন ছ’তলাতেই হেড-নেকের উলটোদিকে ঝমঝম করে চলছে ইএনটি অপারেশন থিয়েটার।
পাঁচটি টেবিলে ইএনটি সার্জনরা রোগীদের নতুন জীবন দিচ্ছেন। এবার হেড-নেক সার্জারি বিভাগেও তিনটি টেবিল নিয়ে শুরু হবে অপারেশন। ইএনটি ও হেড-নেক বিভাগ মিলিয়ে সপ্তাহে পাঁচদিন হবে অস্ত্রোপচার। হেড-নেকের ওয়ার্ডে অবশ্য রোগী ভর্তি রয়েছেন। এবার রোগীর সংখ্যা বাড়বে। অপারেশন থিয়েটারের সঙ্গেই রয়েছে মেল-ফিমেল ওয়ার্ড।
অপারেশনের জন্য এখানে রোগী ভর্তি করা হয় মূলত। এতদিন রোগীদের অনেকদিন অপেক্ষা করতে হত। এবার অপারেশন থিয়েটার যাত্রা শুরু করায় আশায় বুক বাঁধছেন রোগীরা, ডাক্তাররাও। কারণ, অপারেশনের জন্য লাইন দিয়ে এই মুহূর্তে রয়েছেন প্রায় ২৫৬ জন ক্যানসার রোগী। এই কথা মাথায় রেখেই স্বাস্থ্যদপ্তরে হেড-নেকের ওটির পরিধি বাড়িয়ে ‘রিলোকেট’ করার অনুরোধ জানানো হয়। নার্স-সহ কয়েকজন বাড়তি স্টাফ বরাদ্দ করা হয়েছে বর্ধিত পরিষেবা সামাল দিতে।
এখন এই বিভাগে একজন প্রফেসর, একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর রয়েছেন। এছাড়া দু’টি বর্ষ মিলিয়ে ৮ জন পোস্ট ডক্টরাল স্টুডেন্ট পাবে এই বিভাগ। এই ১২ জন মিলিয়ে পাঁচদিন ওটি চালাবেন, দু’দিন আউটডোর চালাবেন। এমনটাই জানালেন অরুণাভ সেনগুপ্ত।
অপারেশন থিয়েটারে তিনটি ওটি টেবিল। চতুর্থ টেবিলও মজুত রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে কাজে লাগানো হবে। ওটির পাশেই থাকছে একটি রিকভারি রুম। টাচ ফ্রি বেসিন। কম্পিউটার রুম। ওয়ার্ডে ভর্তি রাখার জন্য ১৭টি বেড, চারটি আইসিইউ। সব ঠিক থাকলে ২৫৬ জন রোগীর একটা বড় অংশের অপেক্ষার শেষ অবসান হবে পুজোর আগেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.