Advertisement
Advertisement
Kanchan Mullick

কাঞ্চন বিতর্কে তদন্ত চেয়ে পুলিশকে মেল, পালটা চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই দুর্ব্যবহারের অভিযোগ শ্রীময়ীর

কী ঘটেছিল বুধবার ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আউটডোর বিভাগে?

Police investigation on Kanchan Mullick controversy
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:July 12, 2025 8:54 am
  • Updated:July 12, 2025 8:56 am  

স্টাফ রিপোর্টার: ক্যালকাটা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে কর্তব্যরত চিকিৎসককে হেনস্তার ঘটনায় তদন্ত শুরু করল কলকাতা পুলিশ। শুক্রবার কলকাতা পুলিশকে ই-মেল করা হয় হাসপাতালের তরফে। মেল পাওয়ার পর, কলকাতা পুলিশ কমিশনার ডিসি সেন্ট্রালের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করেন প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মন্ত্রী শশী পাঁজা। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, যা হয়েছে তা অত্যন্ত অনভিপ্রেত। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিধায়কের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। কী ঘটেছিল বুধবার ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আউটডোর বিভাগে?

চিকিৎসকরা হাসপাতালের ডিরেক্টরকে যে স্মারকলিপি দিয়েছেন, তা থেকে জানা গিয়েছে, বুধবার, ৯ জুলাই ট্রপিক্যাল মেডিসিনের আউটডোরে এক চিকিৎসককে হেনস্তা করা হয়। আর তা করেছেন একজন জনপ্রতিনিধি। ওপিডিতে রোগী দেখছিলেন মেহবুবর রহমান। তিনি হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধান (এইচওডি)। সেই সময় সেখানে ঢুকে পড়েন কাঞ্চন মল্লিক। তাঁরা দাবি করেন, তখনই তাঁদের আত্মীয়ার রক্তচাপ মাপতে হবে। সেই সঙ্গে প্রেসক্রিপশনে মেটফরমিন লিখে দিতে হবে। স্মারকলিপিতে চিকিৎসকদের সংগঠন লিখেছে, মেহবুবর যখন জানান যে তিনি ওই শিশুর চিকিৎসা করছেন, তখনই দুর্ব্যবহার শুরু করেন বিধায়ক এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁরা চিকিৎসকের নাম এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর জানতে চান। সেই সঙ্গে হুমকিও দেন।

যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের। আর এবার পালটা চিকিৎসকের বিরুদ্ধেই দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুললেন কাঞ্চন মল্লিকের স্ত্রী শ্রীময়ী। ফেসবুকে একটা ভিডিও পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, “ওঁকে নিয়ে দাদাগিরি করতে যাব এমন মানসিকতা নেই।” শ্রীময়ীর দাবি, “কাঞ্চন যখন চিকিৎসককে বলে আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন কেন, আপনি কি কোনও কারণে ডিস্টার্বড? তাতে উনি বলেন, আমি দিনে দু হাজার রোগী দেখি। এখন অভিনয় করে প্রেসের সামনে কথা বলছেন। যেসব জুনিয়র ডাক্তাররা এখন আওয়াজ তুলছেন, সেদিন তাঁরা কোথায় ছিলেন?” শ্রীময়ীর দাবি, “আমার দিদার ৮৬ বছর বয়স। উনি চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। আমাদের সঙ্গে যদি এমন ব্যবহার করা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হবে জানি না।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement