অর্ণব আইচ: ‘এক বছর আগেও কলকাতায় এসেছিলেন। কত কথা হয়েছিল। এক সঙ্গে কত আনন্দ করেছিলাম। দাদার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছি কলকাতা ও হাওড়ার বাসিন্দা আমরা ২৫টি পরিবার।’ বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) মৃত্যু হয়েছে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানির (Vijay Rupani Death)। তারপরই তাঁরা হারালেন এক অভিভাবককে। শোকস্তব্ধ অবস্থায় এমনই জানালেন দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের নর্দার্ন পার্ক এলাকার বাসিন্দা বিপুল রূপানি।
বৃহস্পতিবার বিপুল জানান, বিজয় রূপানি তাঁর তুতো দাদা হলেও তিনি বা পরিবারের অন্য সবাই তাঁকে ‘বড় ভাই’ বলেই জানতেন। আসলে গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলে নয়, পারিবারিক দিক থেকে বিজয় ছিলেন তাঁদের অভিভাবকই। তাঁদের পারিবারিক কোনও অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বড় কোনও সমস্যা, সব ক্ষেত্রেই তাঁরা পরামর্শ নিতেন বিজয় রূপানির কাছেই। তাই গত বছর একটি কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের আগে সব পরিবারের সদস্য মিলেই ‘বড় ভাই’কে অনুরোধ করেছিলেন তাঁদের সঙ্গে থাকার জন্য।
আর গত বছর শুধু সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে গুজরাট থেকে ‘বড় ভাই’ উড়ে এসেছিলেন কলকাতায়। ভবানীপুরে হাজরার কাছে ভাই উমেদের বাড়িতে উঠেছিলেন বিজয় রূপানি। তখন তিনি কোনও রাজনৈতিক ব্যত্ত্বিত্ব নন,একেবারেই আপনজন হিসাবেই সবার সঙ্গে মেতে উঠেছিলেন উৎসবে। হাওড়া, ভবানীপুর-সহ শহরের ২৫টি পরিবারের সদস্যরা সবাই তাঁর সঙ্গে দেখে করে আসেন। অনেকেই তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শও নেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে যখন আমেদাবাদের দুর্ঘটনার খবর রূপানি পরিবারের সদস্যরা দেখেন, তখনও তাঁরা জানতেন না যে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তাঁদের ‘বড় ভাই’ বিজয়ও। শেষ পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকস্তব্ধ পুরো পরিবার। রূপানি পরিবারের পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে। তাতে রয়েছেন প্রায় দেড়শো সদস্য। তাঁরা সবাই শোকস্তব্ধ। কয়েকজন সদস্য গুজরাটে যাচ্ছেন বলে জানান বিপুল রূপানি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.