দিশা ইসলাম, বিধাননগর: অটোচালককে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বচসার সূত্রপাত। আর তার জেরে দ্রুত বেগে অটো চালিয়ে মহিলা যাত্রীকে টেনেহিঁচড়ে কমপক্ষে ২০ মিটার দূরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। অটোচালকের ‘দাদাগিরি’তে ভাঙল মহিলার দু’টি দাঁত। চোয়ালে গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। কপাল ফেটে গিয়েছে। সল্টলেকের সিজি ব্লকের ব্যাপক উত্তেজনা। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অটোচালক। অটোটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আক্রান্ত সল্টলেকের সিজি ব্লকের বাসিন্দা ব্রততী মুখোপাধ্যায়। তিনি বিধাননগর মিউনিসিপাল হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা ছিলেন। বছরখানেক শিরদাঁড়ায় চোটের কারণে চাকরি ছেড়ে দেন। বর্তমানে বাড়িতেই টিউশন পড়ান। বছর আটান্নর ওই মহিলা বর্তমানে শয্যাশায়ী৷ কথা বলার ক্ষমতাও নেই তাঁর। ওই মহিলার স্বামী সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “মঙ্গলবার বেলা ১১টা হবে। বাজার করে ফিরছিলেন স্ত্রী। অটো থেকে নামার পর চালককে ১০ টাকা দেন। যেটি সামান্য ছেঁড়া ছিল। অটোচালক ওই নোটটি নিতে অস্বীকার করে শুরু। কথা কাটাকাটি শুরু হয়।” তাঁর অভিযোগ, কথা কাটাকাটির মাঝে অটোচালক ব্যাগ টেনে ধরে। ওই অবস্থায় অটো চালাতে থাকে। মহিলাকে এভাবে কমপক্ষে ২০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয় বলেই অভিযোগ। একসময় আর টাল সামলাতে পারেননি। পড়ে যান রাস্তায়। তাঁর মুখে গভীর চোট পান। দু’টি দাঁত ভেঙে যায়। চোয়াল বেঁকে যায় মহিলার। কপালে এতটাই গভীর ক্ষত তৈরি হয় যে তা সেলাই করাতে হয়েছে। এছাড়া শরীরের একাধিক অংশে চোট পান।
তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। তবে মহিলা রাজি না হওয়ায় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে বাড়িতেই রয়েছেন। চোয়ালে আঘাতের জন্য বর্তমানে কথা বলছে পারছেন না ওই মহিলা। বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অটোচালক তপন দাসকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। ঘাতক অটোটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.