প্রতীকী ছবি
সুদীপ রায়চৌধুরী: এসআইআর শুরুর মুখেই বিপত্তি! খোঁজ মিলছে না রাজ্যের কয়েকশো বুথের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা। তাই কমিশনের পোর্টালে লেই বুথগুলির ভোটাল তালিকা আপলোড করাও সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বা সিইও-র দপ্তর সূত্রে খবর, মোট কতগুলি বুথের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা নিখোঁজ, সেই তালিকা বুধবার প্রকাশ করে দিল্লিতে জাতীয় জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে জানানো হবে। এক্ষেত্রে, তালিকা একান্তই না মিললে ২০০৩ সালের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ বা আপলোড বা অনুমতি চাওয়া হবে। কমিশনের অনুমতি মিললে ওই বুথগুলির ক্ষেত্রে ২০০৩ সালের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে।
২০০২ সালের পর চলতি বছর রাজ্যে ফের বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর শুরু হতে চলেছে। যেখানে ২০০২ সালকে ভিত্তিবর্ষ ধরে নতুন সমীক্ষাও সংশোধনের কাজ করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী রাজ্যের সিইও দপ্তরের তরফ থেকে রাজ্যের সকল জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয় ২০০২ সালের ভোটার তালিকা সিইও দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য। জমা পড়া সেই তালিকা ইতিমধ্যে নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করার কাজও শুরু করেছে সিইও দপ্তর। কাজ শুরুর পর দেখা যায়, সব জেলা থেকে ২০০২-এর পূর্ণ ভোটার তালিকা পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটি জেলা থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এত পুরনো নথি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সিইও দপ্তর সূত্রের খবর, ভোটার তালিকা খুঁজে না পাওয়ার পাশাপাশি অনেক বুথের তালিকা পাওয়া গেলেও সেগুলি অস্পষ্ট বা নষ্ট হওয়ার ফলে ওয়েবসাইটে আপলোড করা যাচ্ছে না।
এবিষয়ে এক আধিকারিকের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কাছে ২০০৩ সালের ড্রাফ্ট লিস্ট (খসড়া তালিকা) রয়েছে।’’ তাঁর কথায়, ২৯৪টি বিধানসভায় ৮০ হাজারেরও বেশি বুথ ছিল। তার সম্পূর্ণ তালিকা খুঁজে বার করা মুশকিল হয়ে পড়েছে। তবে বেশির ভাগ বিধানসভা আসনের ২০০২ সালের ভোটার তালিকা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। কয়েকটি জায়গার তালিকা পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম খুঁজে পাওয়া না গেলে বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে। ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ যাওয়ার আশঙ্কা জাগতে পারে। এই সমস্যা সমধানে ২০০৩ সালের খসড়া তালিকা প্রকাশ করাই সেরা পথ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.