রমেন দাস: কসবা কাণ্ডের জের। অনির্দিষ্টকালের জন্য সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল গর্ভনিং বডি। ইতিমধ্যেই ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সকাল থেকে কসবার আইন কলেজে গণধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। নির্যাতিতা দাবি করেন, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে ডাকা হয়েছিল কলেজে। অভিযোগ, তিনি সেখানে গেলে তাঁর উপর চড়াও হন তিনজন। গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। কাউকে কিছু না বলতে হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে ওই ছাত্রী কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, প্রথমে বিশেষ তদন্তকারী দল বা ‘সিট’-এর পাঁচজন সদস্য কাজ শুরু করেন। এদিন ‘সিট’-এর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন ন’জন ‘সিট’ সদস্য তদন্ত করছেন। নির্যাতিতা ছাত্রী ও তিন অভিযুক্তর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বুধবার রাতে কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের যে ভিডিওগুলি তোলা হয়, সেগুলি একটি সোশাল মিডিয়ার বিশেষ গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল বলে খবর আসে পুলিশের কাছে। পুলিশ সেই তথ্য যাচাই করছে। ওই গ্রুপে রয়েছে মনোজিৎ, জায়েব, প্রমিত ও মনোজিতের খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। ওই গ্রুপের কেউ বাইরে ভিডিওগুলি ছড়িয়েছে কি না, সেই তথ্য পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তথ্য যাচাইয়ের জন্য গ্রুপের অন্য সদস্যদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে। পরীক্ষা করা হতে পারে তাঁদের মোবাইলও। শনিবার সন্ধ্যায় অভিযুক্তদের কলেজে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্গঠন হয়। ইউনিয়ন রুম, গার্ড রুম-সহ কোথায় কী ঘটনা ঘটেছিল, তার বিবরণ দিয়েছে অভিযুক্তরা। চলছে তদন্ত। একের পর এক প্রকাশ্যে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোটা পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনির্দিষ্টকালের জন্য আইন কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গর্ভনিং বডির সদস্যরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.