স্টাফ রিপোর্টার: নিয়োগে অংশ নিতে না দেওয়া হলে সেটা এই চিহ্নিত অযোগ্যদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের মতো ডিভিশন বেঞ্চেও চিহ্নিত অযোগ্যদের পাশেই দাঁড়িয়ে দাবি রাজ্যের। এসএসসির তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, এসএসসির নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চিহ্নিত অযোগ্যদের অংশ নিতে সুপ্রিম কোর্টের কোনও বাধা নেই। তাঁর দাবি, চিহ্নিত অযোগ্যরা নিয়োগে অংশ নিতে না পারলে, অসফল প্রার্থীরাও পারবেন না।
কিন্তু বিচারপতি সৌমেন সেন বলেন, কেউ কোনও একটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন, সেখানে অসফল হয়েছেন। তাঁরা ভবিষ্যতে কীভাবে ফের ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেন? কমিশনের উদ্দেশে আদালত আরও জানতে চায়, সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, প্রতারণার জন্য যাঁদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে, তাঁরাও এই নিয়োগে অংশ নিতে পারবেন কি? কল্যাণ বলেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমিশনের বা রাজ্যের আছে। রাজ্যের মানুষের কথা কে ভাববে। জনস্বার্থের কথা রাজ্যকেই চিন্তা করতে হবে।
কমিশন আরও জানায়, এখনও পর্যন্ত ২ লাখ ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তার মধ্যে মাত্র ১৮৮ জন চিহ্নিত অযোগ্য আবেদন করেছেন। মোট চিহ্নিত অযোগ্য হল ১৮০১। বিচারপতি প্রশ্ন করেন, বেআইনি হোক বা অনিয়ম করে হোক এই চিহ্নিত অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন এবং করেছেন। ফলে এঁদের অভিজ্ঞতা কীভাবে কেড়ে নেওয়া যায়, এটাই কি কমিশনের বক্তব্য। হ্যাঁ, বলে জানায় কমিশন। তারা বলে, চিহ্নিত অযোগ্যদের নিয়োগে অংশ নিতে না দেওয়া হলে তাদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।
রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত বলেন, নিয়োগে অংশ নিতে না দেওয়া হলে সেটা এই চিহ্নিত অযোগ্যদের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হবে। যেটা কেড়ে নেওয়ার ছিল সেটা সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্ট করে কেড়েছে, আর যেটা দেওয়ার ছিল সেটাও নির্দিষ্টভাবে দিয়েছে বলে সওয়াল করে রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট এদের ভবিষ্যৎ অধিকার কেড়ে নিতে চায়নি, বলে রাজ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.