Advertisement
Advertisement
SSKM

গলায় কাজলের কৌটো নিয়ে তিন ঘণ্টা হাসপাতালে ঘুরল শিশু, অস্ত্রোপচার করে প্রাণ বাঁচাল SSKM

অভিযোগ, শিশুকে ফিরিয়ে দিয়েছিল দুটি হাসপাতাল।

SSKM Hospital performs critical surgery, saves toddler of 8 months old | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 4, 2022 5:00 pm
  • Updated:March 4, 2022 5:24 pm   

অভিরূপ দাস: খেলতে খেলতে কাজলের কৌটো গিলে ফেলেছিল ৮ মাসের শিশু। শ্বাসনালীর উপরে তা আটকে যায়। সেই অবস্থায় নিউটাউনের (New Town) শিশুকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরে বেড়ালেন অভিভাবকরা। শেষমেশ সংকটাপন্ন শিশুর গলায় অস্ত্রোপচার করে প্রাণ বাঁচালেন এসএসকেএমের (SSKM) চিকিৎসকরা। তবে এখনও তার বিপদ কাটেনি বলেই হাসপাতাল সূত্রে খবর। খুদেকে রাখা হয়েছে হাসপাতালের আইসিইউ-তে। এই ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিল, জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দিতে এখনও কতটা উদাসীন হাসপাতাল।

Advertisement
SSKM
এই কাজলের কৌটোটি অস্ত্রোপচারে বের করা হয়েছে শিশুর শ্বাসনালী থেকে।

জানা গিয়েছে, নিউটাউনে বাসিন্দা ৮ মাসের রীতেশ বাগড়ি। খেলতে খেলতে সামনে থাকা কাজলের কৌটোটি সটান গলায় চালান করে দেয় সে। এরপর যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। বিষয়টি বাড়ির লোকের নজরে আসামাত্রই বাড়ির খুদে সদস্যটিকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন তাঁরা। কিন্তু অভিযোগ, দুটি হাসপাতাল ফিরিয়ে দেয় তাকে। তারপর এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গেলে অপারেশন থিয়েটারে (OT) নিয়ে যাওয়ার আগে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক বসিয়ে রাখা হয়।

[আরও পড়ুন: ভয়াবহ জঙ্গি হামলা পাকিস্তানে, নমাজ চলাকালীন পেশোয়ারের মসজিদে বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ৩০]

এরপর শিশুর প্রাণ বাঁচাতে তাঁরা এসএসকেএম হাসপাতালে যান। সেখানে ডিপার্টমেন্ট অফ অটোরাইনো ল্যারিঙ্গোলজির চিকিৎসকরা রীতেশকে ভরতি করিয়ে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। কঠিন অপারেশনে সফলভাবে তার শ্বাসনালী থেকে বের করা হয় কাজলের কৌটোটি। তিন চিকিৎসকের এই কঠিন কাজের নেতৃত্ব দেন ডাক্তার অরুণাভ সেনগুপ্ত। বাকি কাজটি করেন ডাক্তার সৌতিক কুমার, রেশমা বানু ও মৈনাক সাহা। তাঁরা জানিয়েছেন, প্রায় তিনঘণ্টা ধরে রীতেশের গলায় আটকে ছিল কাজলের কৌটোটি। যার জেরে এখনও তার শারীরিক অবস্থা ভাল নয়।

[আরও পড়ুন: নোনাপুকুরে চলন্ত ট্রামে দাউদাউ করে জ্বলে উঠল আগুন, আতঙ্কে হুড়োহুড়ি যাত্রীদের]

রীতেশের এই ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এখনও বিভিন্ন হাসপাতাল জরুরি ভিত্তিতে রোগী পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কতটা উদাসীন। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, কোনও পরিস্থিতিতে রোগীকে ফেরানো যাবে না। প্রাণ বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর চিকিৎসা করতে হবে। কিন্তু তা সত্ত্বেও হাসপাতালগুলির গাফিলতি রয়েই গিয়েছে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ