Advertisement
Advertisement
Delhi

ভিনরাজ্যে নির্যাতিত বাঙালি পরিবারের পাশে মমতা সরকার, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআরের সিদ্ধান্ত

নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে।

State government stands by the family of Bengali migrant worker infected in Delhi
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:July 30, 2025 2:03 pm
  • Updated:July 30, 2025 3:18 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঙালি বলে দিল্লিতে নির্যাতন! দিল্লি পুলিশের অত্যাচারের শিকার মালদহের চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের পাশে দাঁড়ল তৃণমূল ও রাজ্য সরকার। সেখানেই পুরমন্ত্রী জানালেন, ফিরে আসা এই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের সব দায়িত্ব নেবে রাজ্য সরকার। বাংলার সাধারণ মানুষ যে পরিষেবা পান তা এই পরিবারকেও দেওয়া হবে। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, “ফিরে আসা সবার পেটে ভাত, সবার হাতে কাজ, সবার মাথায় ছাদ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।” হেনস্তার শিকার পরিবার কলকাতা পুলিশে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একথা জানিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ। বুধবার তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মাঝে বসে সেই নির্যাতনের বর্ণনা দেন হেনস্তার শিকার সাজনুর পারভিন।

Advertisement

দিল্লিতে মালদহের চাঁচলের সাজনুর পারভিন ও তাঁর শিশুপুত্রের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। তা সবার প্রথমে সামনে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেই তথ্য ভুল বলে দিল্লিতে একটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা সাজনুরের বয়ানেই কার্যত স্পষ্ট। সেই মামলার  বিরুদ্ধেও পালটা মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন ফিরহাদ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন। তাঁরা ফিরে এলে জব কার্ডের মাধ্যমে কাজ দেওয়ারও কথা বলেছেন তিনি। সেই সুর ধরেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, একটা রুটি থাকলে হাফ করে খাব। বাংলা ভাষার উপর অত্যাচার সহ্য করা হবে না।”

কী অভিযোগ সাজনুর? সাজনুর পারভিন মালদহের চাঁচলের বাসিন্দা। স্বামী মোক্তার খান। দীর্ঘদিন ধরেই সপরিবারে থাকতেন দিল্লিতে। মহিলার দাবি, একদিন চারজন তাঁর বাড়িতে যান। নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে আধার কার্ড দেখতে চান। খোঁজ করেন মোক্তারের। আধার কার্ড দেখানো সত্ত্বেও নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা মহিলাকে বাংলাদেশি তকমা দেন। তাঁরা যাতে এলাকা না ছাড়েন সেই নির্দেশও দেওয়া হয়। এরপরের দিন ফের চার জন যায় তাঁর বাড়িতে। সেই সময় দলে ছিলেন ২ মহিলাও। তাঁরাই সাজনুর ও তাঁর সন্তানে এক জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তার উপর অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। মহিলার কথায়, “আমাকে বাংলাদেশি বলা হয়। আমি বারবার বলি, আমি মালদহের বাসিন্দা। এরপর ওরা স্বামীকে ডাকতে বলে। শুরু করে বেধড়ক মার।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ