Advertisement
Advertisement
Suvendu Adhikari

‘দল তো শুভেচ্ছা জানিয়েছে!’ বিয়ে নিয়ে দিলীপকে কি খোঁচা দিলেন শুভেন্দু?

শুভেন্দুর এহেন মন্তব্য নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

Suvendu Adhikari expresses apathy on Dilip Ghosh's marriage
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 19, 2025 8:24 pm
  • Updated:April 19, 2025 8:29 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গ বিজেপির আদি নেতা দিলীপ ঘোষ নতুন জীবনে পা রেখেছেন। ১৮ এপ্রিল, শুক্রবার তিনি চার বছরের প্রেমিকা রিঙ্কু মজুমদারকে বিয়ে করেছেন। বরাবর সংঘের নিষ্ঠাবান সৈনিক এবার হয়েছেন সংসারী। তবে বিয়ের মতো শুভ অনুষ্ঠানেও বিজেপির আদি-নব্য দ্বন্দ্ব কাঁটা রয়েই গেল। শুক্রবার দিলীপ ঘোষের বাড়ি গিয়ে একের পর এক ‘আদি’ নেতারা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কিন্তু দেখা যায়নি দলবদলকারী কোনও নেতাকেই। শনিবার, ২৪ ঘণ্টা পর এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সহকর্মীর বিয়ে নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ”দল তো শুভেচ্ছা জানিয়েইছে, আমি আলাদা করে কী বলব?” এনিয়ে শুভেন্দুকে পালটা খোঁচা দিয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

Advertisement

বঙ্গ রাজনীতির অন্যতম চর্চিত ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ নেতা দিলীপ ঘোষের বিয়েতে গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীর তো বটেই, শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। সেই তালিকায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ, বীরভূমের নেতা অনুব্রত মণ্ডল থেকে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী – কে নেই? বিয়ের পরদিনও শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন নবদম্পতি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার সোশাল মিডিয়ায় তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সুখী দাম্পত্য জীবনের প্রার্থনা করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও। তবে এসবের মাঝে সবচেয়ে অবাক করেছে দিলীপের সতীর্থ শুভেন্দু অধিকারীর নীরবতা। শুভেচ্ছা দূরে থাক, বিয়ে নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি।

তবে শনিবার মুখ খুললেন অবশেষে। এদিন দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির মাঝে শুভেন্দুর ছোট্ট মন্তব্য, ”দল তো শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আমি দলেরই একজন। আলাদা করে কী বলব?”  দু’জনের মধ্যে চোরা দূরত্ব যতই থাক, দলের সহকর্মীর এমন শুভ দিনেও কি এতটা নিরাসক্ত হওয়া মানানসই? এ প্রশ্ন তো উঠছেই। শুভেন্দুর এহেন মন্তব্য নিয়ে কুণাল ঘোষের খোঁচা, ”দল জানালেই যদি সব কাজ হয়ে যায়, তাহলে তো দলের কর্মসূচিতে এক,দু’জন বললেই সকলের বলা হয়ে যায়। আলাদা নেতারা আলাদা করে বলেন কেন?”

উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষের বিয়ের আবহে অবিবাহিত শুভেন্দুকে নিয়েও একপ্রস্ত আলোচনা হয়েছে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশে। ‘চিরকুমার’ শুভেন্দুকে নাকি তাঁর প্রয়াত মা বারবার বিয়ের জন্য বলেছেন। কিন্তু সেকথা শোনামাত্রই রেগে গিয়ে আরও বেশি করে রাজনীতিতে মনে দিয়েছেন অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে। আর দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, মায়ের কথাতেই তিনি শেষ পর্যন্ত বিয়েতে রাজি হয়েছেন। ফলে ব্যক্তিগত জীবনেও দু’জনের অবস্থান একেবারে পৃথক।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ