Advertisement
Advertisement
Tangra

হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পুলিশ-পুরকর্মীরা, তুমুল উত্তেজনা ট্যাংরায়

নিজেদের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে তৈরি বাড়ি ভেঙে ফেললে কোথায় যাবেন? এই প্রশ্ন তুলে কেঁদে ফেললেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, আগে পুনর্বাসন দিতে হবে।

Tangra: Police face protest while demolishing leaning building
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:January 30, 2025 1:36 pm
  • Updated:January 30, 2025 2:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্যাংরার হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে গিয়ে প্রবল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ ও পুরকর্মীরা। ভিতর থেকে কোলাপসিবল গেট আটকে দিয়েছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, কোনও নোটিস ছাড়া আচমকা পুরসভা বাড়ি ভাঙতে এসেছে। নিজেদের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে তৈরি বাড়ি ভেঙে ফেললে কোথায় যাবেন? এই প্রশ্ন তুলে কেঁদে ফেললেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, আগে পুনর্বাসন দিতে হবে। তারপর ভাঙার কাজ শুরু করতে দেবেন তাঁরা।

Advertisement

গত বুধবার থেকে চর্চায় ট্যাংরার (Tangra) ক্রিস্টোফার রোডের হেলে পড়া বহুতল। পাশাপাশি দু’টি বাড়ি। একটি সবুজ, দ্বিতীয়টি সাদা। জানা যায়, পুর নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ছ’তলার সাদা বাড়ি তৈরি হচ্ছিল। তবে ওই বাড়িতে কেউ বাস করত না। কিন্তু পাশের সবুজ বাড়িতে লোক থাকে। সবুজ বহুতলটি ভার সহ্য করতে না পেরে সাদা নির্মীয়মাণ বাড়িটির দিকে হেলে পড়ে। এরপরই পুরসভার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অবৈধ সাদা নির্মাণটিকে ভেঙে ফেলা হবে। তারপর স্পষ্ট হত, সবুজ বাড়িটির পরিস্থিতি ঠিক কী।

বৃহস্পতিবার সাদা বহুতলটি ভাঙার কথা ছিল। কিন্তু এদিন সকালে হেলে পড়া সবুজ বাড়িটি ভাঙতে যায় পুলিশ ও পুরকর্মীরা। ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। তাতেই ক্ষেপে ওঠেন সবুজবাড়ির বাড়ির বাসিন্দারা। ভিতর থেকে কোলাপসিবল গেট আটকে দেন তাঁরা। বাসিন্দাদের যুক্তি, তাঁরা বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত কোনও নোটিস পাননি। সকলেই জীবনের সমস্ত সঞ্চয় দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন। কেউ আবার ৯০ শতাংশ পেমেন্ট করে ফেলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ফ্ল্যাট ভাঙা হলে তাঁরা কোথায় যাবেন। পুনর্বাসন না দিলে বাড়ি ভাঙতে দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা। এই নিয়ে তুমুল উত্তেজনা ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে। কেনই বা সাদা বাড়ির বদলে সবুজ বহুতল ভাঙতে গেলেন পুরকর্মীরা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট সাদা নির্মীয়মাণ বহুতলে ৪০১ নোটিস জারি করে পুরসভা। পরে গত সপ্তাহে সবুজ বাড়িকেও নোটিস দেওয়া হয়। এদিকে কলকাতার হেলে পড়া বাড়িগুলি কীভাবে সোজা অথবা উঁচু করা সম্ভব, তা নিয়ে হরিয়ানার সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম ও বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা। ওই সংস্থার থেকে যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুরসভা সন্তষ্ট হলে ওই সংস্থাকে হেলে পড়া বহুতলকে সোজা করার বরাত দেবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement