Advertisement
Advertisement
ISRO

আকাশ থেকে সীমান্তে কড়া নজরদারিতে দেশ নিরাপদ, কলকাতায় এসে বললেন ইসরোর চেয়ারম্যান

রাজা রামমোহন রায়ের জন্মবার্ষিকীতে রামমোহন মিশন স্কুলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরোর চেয়ারমম্যান।

The country is safe with strict surveillance from the sky at the borders, said ISRO Chairman in Kolkata
Published by: Gopi Krishna Samanta
  • Posted:May 23, 2025 9:56 am
  • Updated:May 23, 2025 9:56 am   

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল‌্য কীভাবে? সাফল্যের ছবি সকলের সামনে এলেও সাফল্যের সিক্রেট নিয়ে টুঁশব্দটি করলেন না ভদ্রলোক। শুধু বললেন, “আমরা অনবরত সীমান্তে নজর রেখে চলেছি। শুধু এটুকু বলতে পারি, Bharat is safe.” বক্তা ইসরোর চেয়ারম‌্যান ড. ভি নারায়ণান। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সায়েন্স সিটিতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে কথাগুলো যখন তিনি বলছেন, প্রায় সেই কাছাকাছি সময় বিকানের থেকে রণহুঙ্কার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর কলকাতার মাটিতে দাঁড়িয়ে ড. নারায়ণন বললেন, “দেশের নিরাপত্তা দেশের স্ট্র‌্যাটেজির বিষয়। এগুলো প্রকাশ্যে বলা যায় না। শুধু জেনে রাখুন, আমরা সদা সজাগ নজর রেখেছি আমাদের সীমান্তে। অপারেশন সিঁদুরের সময় সতর্ক পাহারা ছিল। দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন‌্য যেখানে যেটুকু করার দরকার আমরা করেছি।”

Advertisement

নবজাগরণের পথিকৃত রাজা রামমোহন রায়ের ২৫৩ তম জন্মবার্ষিকীর দিনে দক্ষিণ কলকাতার রামমোহন মিশন স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসরোর চেয়ারম‌্যান। দেশের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ উঠল সেখানেই। চোয়াল শক্ত করে ইসরোর চেয়ারম‌্যান বললেন, “পাকিস্তান-সহ দেশের সমস্ত সীমান্ত মিলিয়ে ১১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্ত ইসরো মনিটর করছে অনবরত। আবারও বলছি, দেশের সবাই নিরাপদ।” ত্রিস্তরীয় সেনা দেশের নিরাপত্তার মূল পাহারাদার হলে তার সহচর হয়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-কে যারা চূড়ান্ত সাফল‌্য এনে দিয়েছে তারা এই ইসরো। কারণ জঙ্গিদের ঘরে ঢুকে সাফল্যের সঙ্গে মিসাইল হানা সম্ভব হওয়ার অন‌্যতম নেপথ‌্য কারিগর ছিল দেশের এই মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। কারণ জঙ্গিদের সঠিক অবস্থান জেনে দিয়েছিল বিগত দু-তিন বছরে মহাকাশে পাঠানো তাদেরই অন্তত ১০০ উপগ্রহ, যার মধ্যে ৫৬টি এই মুহূর্তে ঠিক উপর থেকে দেশের কোণায় কোণায় দৃষ্টি রেখে চলেছে।

বিশেষ করে কড়া নজরে রেখেছে পাকিস্তান-সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সীমান্তকে। যাকে কেউ ‘মেঘনাদ’-এর সঙ্গে তুলনা করেছে। কেউ আবার তুলনা টেনে নীশাচর পেঁচার দৃষ্টি আর তার নিঃশব্দ ডানার কথা বলছে। পেঁচাই একমাত্র শিকারি পাখি, যে কান ঘেঁষে উড়ে গেলেও হাওয়ায় তার ডানার শব্দ মেলে না। ইসরোর সহযোগিতায় ঠিক সেই পদ্ধতিতেই নিজেদের সীমান্তের ভিতরে দাঁড়িয়ে পাক-জঙ্গিঘাঁটি, পাক সেনার একের পর আস্তানা নিশ্চিহ্ন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

সাংবাদিকদের জবাব দিতে গিয়ে এদিন এই অনুষ্ঠানেই ১৯৮৮-র খড়গপুর আইআইটির ছাত্র ড. নারায়ণন বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দেশ নিরাপদ হাতে রয়েছে। তাঁর হাতে রামমোহন আচার্য সম্মান তুলে দেন রামমোহন মিশনের সভাপতি সুজয় বিশ্বাস। ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সুপর্নানন্দ মহারাজ-সহ একাধিক বিশিষ্ট ব‌্যক্তিত্ব। যে অনুষ্ঠানের মাঝেই ইসরোর অবদানের জন‌্য তাদের চেয়ারম‌্যানের ডান হাতটা নিয়ে নিজের মাথায় ছোঁয়ালেন রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ