Advertisement
Advertisement

এক ফুট জল ঠেঙিয়েও হাওড়া-শিয়ালদহ শাখায় ট্রেন ছুটবে তরতরিয়ে

লাইনে জল জমলে আগামিদিনে কুছ পরোয়া নেহি শহরতলির যাত্রীদের৷

The train will run line on water in Howrah-Sealdah division
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 17, 2018 3:17 pm
  • Updated:June 17, 2018 3:17 pm   

সুব্রত বিশ্বাস: বর্ষা আগত দ্বারে৷ যাত্রীদের বুক দুরুদুরু, জমা জলে কখন আটকে পড়ে ট্রেন। লেট লতিফ থেকে একেবারে গরহাজিরা কর্মস্থলে। তবে, রেল বলছে ‘কুছ পরোয়া নেহি।’ লাইনের উপর এক ফুট জল হলেও তরতরিয়ে ট্রেন এগোবে৷ একেবারে জল কেটে তরীর মতো, তবে, গতি হবে ধীর৷

Advertisement

ওয়েস্টার্ন রেল মুম্বই ওয়ার্কশপে নতুন এক প্রযুক্তি প্রয়োগ করেছে ট্রাকশান মোটরে। ট্রাকশান মোটরটি সিল করে দেওয়া হচ্ছে একেবারে ওয়াটার প্রুফ পদ্ধতিতে। ফলে ট্রাকশান মোটরে জল ঢুকতে পারবে না। লাইনের উপর এক ফুট জল হলেও এই ট্রাকশান মোটর চলবে অবলীলায়। ফলে চাকা ঘোরানোর মতো কাজে ওই ট্রাকশান মোটর জলে ডুবেও থাকবে সক্রিয়। মুম্বইয়ের লাইন জলে ডোবার সমস্যা বরাবরই। তাই ইঞ্জিনিয়াররা এই নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন। হাওড়া কারশেড এলাকায় বর্ষায় জল জমার প্রবণতা রয়েছে৷ বিশেষত দক্ষিণ-পূর্ব রেলে৷ টিকিয়াপাড়ার আগে কারশেড এলাকায় লাইন ওল্টানো কচ্ছপের পিঠের মতো৷ সেখানে জল জমে৷ ওভারব্রিজের জন্য লাইন উঁচু করা সম্ভব হচ্ছে না।

[বিজেপির সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই, ৪০ হাজার ডিজিটাল সেনা নামাচ্ছে তৃণমূল]

ফলে সেই রেলেও এই প্রযুক্তি প্রয়োগের চিন্তা ভাবনা নেওয়া হয়েছে। মুম্বই রেলের ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন বিভাগের সূত্রে জানানো হয়েছে, মুম্বই শহরতলির লাইনে জল জমে বেশি৷ ফলে, ট্রাকশান মোটরে জল ঢুকে যায়৷ ফলে অকেজো হয়ে পড়ে শহরতলির ট্রেন। গত বর্ষায় ২৫টা রেক এভাবে অকেজো হয়ে পড়ায় রেল ব্যবস্থাটাই ভেঙে পড়ে৷ কারণ, এই পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে এক একটি রেক মেরামতিতে পাঁচ-ছ’দিন সময় লাগে। লইনে চার ইঞ্চি জল জমলেই এই সমস্যা নির্ধারিত ছিল। ফলে এমন এক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয় ট্রাকশান মোটরে, যে লাইনে এক ফুট জল হলেও সক্রিয় থাকবে ট্রাকশান মোটর। ওয়াটার প্রুফ পদ্ধতি প্রয়োগে ট্রাকশান মোটরটি সিল করে দেওয়া হয়। যাতে লাইনে জল বেশি থাকলেও তা ট্রাকশান মোটরকে ছুঁতে পারবে না। এই ট্রাকশান মোটর থাকে ইঞ্জিনের নিচে যা মোটর কোচের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে চাকাকে সক্রিয় রাখে। জলে এই ট্রাকশান মোটর অকেজো হয়ে পড়ায় রেক নষ্ট হয়ে পড়ে।

[বিশ্বকাপে ম্যাচ চলাকালীন লোডশেডিং নয়, কড়া নির্দেশ রাজ্যের]

রেল বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে যে কোনওরকম উন্নতিমূলক কিছু হলে তা সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় রেলের প্রতিটি জোনে শেয়ার করা হয়। ফলে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কর্তারা বিষয়টি জানেন। তাঁরাই আগ্রহী এই প্রযুক্তির প্রয়োগে। ফলে হাওড়া, শিয়ালদহে লাইনে জল জমলে আগামী দিনে কুছ পরোয়া নেই শহরতলির যাত্রীদের৷

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস