Advertisement
Advertisement
Kolkata Metro Railways

ব্যস্ত সময়েও বেশিরভাগ টিকিট কাউন্টার বন্ধে যাতায়াতে দেরি, মেট্রোয় যাত্রীদের নিত্য ভোগান্তি

২০১৮ সালের পরে মেট্রোয় সেভাবে কর্মী নিয়োগ হয়নি।

Ticket counters closed in Kolkata Metro station, causing trouble

ফাইল চিত্র

Published by: Suhrid Das
  • Posted:March 31, 2025 2:00 pm
  • Updated:March 31, 2025 2:00 pm   

নব্যেন্দু হাজরা: শহর কলকাতায় এক প্রান্ত থেকে অন‌্যত্র যাওয়ার দ্রুততর মাধ‌্যম মেট্রো। কিন্তু সেই মেট্রোয় চড়ার আগে টিকিট কাটার ঝক্কি পোহাতে গিয়ে প্রায়দিনই যাত্রীদের মিস হচ্ছে একের পর এক ট্রেন। ফলে অনেকেই নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন না। কারণ প্রায় সব স্টেশনেই টিকিট কাউন্টারের সংখ‌্যা উল্লেখযোগ‌্যভাবে কমে গিয়েছে। অধিকাংশ স্টেশনে একটি, আর যেখানে বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন সেখানে বড়জোর দু’টি কাউন্টার খোলা থাকছে।

Advertisement

এমনকী, এসপ্ল‌্যানেড, দমদম বা কালীঘাটের মতো বড় স্টেশনে যেখানে ন্যূনতম পাঁচ-ছ’টি কাউন্টার খোলা থাকত। সেখানেও এখন দিনের বেশিরভাগ সময় দু’টি কাউন্টার খোলা থাকে। ফলে টিকিট কাটতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে যাত্রীদের। কিংবা যাত্রীদের দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন। অন্যদিকে, স্মার্ট কার্ড রিচার্জের জন্য যাত্রীদের মেট্রোর অ্যাপ ডাউনলোড করার পরামর্শ দিচ্ছেন আধিকারিকরা। সেই অ‌্যাপ ব‌্যবহারকারীদের সংখ‌্যাও যে বাড়ছে তাও জানাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। অথচ প্রত্যেক স্টেশনের ছবি বলছে, বেশিরভাগ টিকিট কাউন্টর বন্ধ থাকায় লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে যাত্রীদের। আর তাতেই মিস হচ্ছে একাধিক ট্রেন।

মেট্রোয় দ্রুত হারে কাউন্টার কমে আসা নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে যাত্রী মহলে। জোকা-মাঝেরহাট এবং নিউ গড়িয়া-রুবি লাইনের একাধিক স্টেশনকে ‘নো বুকিং কাউন্টার’ স্টেশন করা হয়েছে। আর কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর স্টেশনের অধিকাংশ স্টেশনের কাউন্টার সংখ্যাও কোনওটায় একটা, কোনওটায় দুটো। আর তার ফলই ভুগছেন যাত্রীরা। নিত‌্যদিনের মেট্রো সফরে স্মার্ট কার্ডের যাত্রী আগের তুলনায় বাড়লেও রোজ টিকিট কাটেন এমন যাত্রীও নেহাত কম নয়। ওই সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশের কাছাকাছি। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের স্বয়ংক্রিয় টিকিট ভেন্ডিং মেশিন এবং অ্যাপ ব্যবহার করার পথ বেছে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। অনেকেই তা করতে পারেন না। মোবাইলে বা অনলাইনে টিকিট কাটতে সড়গড় নন। তাই বাধ‌্য হয়েই লাইন দীর্ঘ হলেও সেখানেই দাঁড়াতে হচ্ছে সময় ব‌্যয় করে। বিভিন্ন স্টেশনে কর্মী সংকটের কারণেই কাউন্টারের সংখ্যা কমাতে হয়েছে। ২০১৮ সালের পরে মেট্রোয় সেভাবে কর্মী নিয়োগ হয়নি। অথচ, নতুন স্টেশন চালু হওয়ায় সেখানে কর্মী জোগান দিতে হচ্ছে।

গত কয়েক বছরে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো ছাড়াও উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর বরানগর এবং দক্ষিণেশ্বর স্টেশন চালু হয়েছে। শিয়ালদহ পর্যন্ত পরিষেবা সম্প্রসারিত হয়েছে ইস্ট-ওয়েস্টের। উল্টোদিকে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল‌্যানেড। সকাল এবং সন্ধ‌্যায় অধিকাংশ স্টেশনেই যাত্রীদের লম্বা লাইন চোখে পড়ছে। আর দুপুরে তো দু-তিনটি বাদ দিয়ে প্রায় সব স্টেশনেই একটি কাউন্টার খোলা থাকে। ফলে দুপুরের দিকেও ভোগান্তির থেকে নিস্তার নেই সাধারণ মানুষের। যদিও মেট্রোকর্তাদের দাবি, কোনও স্টেশনে যাত্রীর চাপ বেড়ে গেলে কাউন্টারের সংখ‌্যা বাড়ানো হয়। মেট্রোর প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সহ সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘মেট্রোয় কর্মী সংকট রয়েছে। সে কারণেই এই অবস্থা। যাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ছে। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন চোখে পড়ছে।’’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ