Advertisement
Advertisement

Breaking News

TMC 21 July Rally

‘জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হল, কিছু বললেন না তো’, ওড়িশায় নারী নির্যাতন নিয়ে একুশের মঞ্চে সরব মমতা

ওড়িশায় সম্প্রতি এক কিশোরীর গায়ে প্রকাশ্যে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।

TMC 21 July Rally: Mamata Banerjee attacks BJP led Odissa for burning teenage girl
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 21, 2025 8:45 am
  • Updated:July 21, 2025 4:26 pm  

আবেগের নাম একুশে জুলাই। ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মেগা ইভেন্ট, শহিদ স্মরণ। সকাল থেকেই সরগরম গোটা চত্বর। ‘দিদি’ তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনতে রাত থেকে একটু একটু করে জমায়েত করতে শুরু করেছেন দলের কর্মী, সমর্থকরা। আমজনতার ভিড়ও কম নয়। ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ের কোন সুর বেঁধে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা শুনতে আগ্রহী সকলে। এমন হাইভোল্টেজ সভার জন্য ধর্মতলা চত্বর-সহ গোটা কলকাতাই নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশি টহল। যানবাহনও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে সকাল থেকে। একুশে জুলাই, তৃণমূলের শহিদ তর্পণের খুঁটিনাটি জানতে চোখ রাখুন লাইভ আপডেটে। 

Advertisement

দুপুর ২.২৮: “সাবধানে বাড়ি ফিরবেন”, সভা শেষে দলীয় কর্মীদের বার্তা মমতার। 
দুপুর ২.২৪:
মমতার হুঁশিয়ারি, “আজ থেকে শুরু হল আন্দোলন। চলবে আগামী নির্বাচনের ফলপ্রকাশ পর্যন্ত।” তৃণমূলের নতুন স্লোগান, “এবার জব্দ হবে, স্তব্ধ হবে।”
দুপুর ২.১৯:
বিজেপিকে তোপ দেগে মমতার আর্জি, “ওদের না আছে জ্ঞান, না আছে গম্যি। সোশাল মিডিয়ায় যা দেয় তা দেখে বিশ্বাস করবেন না।”
দুপুর ২.১৭:
গান্ধীমূর্তির পাদদেশে সাংসদদের ধরনা কর্মসূচি। নাগরিক সমাজকে ধরনায় যোগের আহ্বান মমতার। 
দুপুর ২.১৪:
এবারের একুশে জুলাইতে কেন বৃষ্টি হল না, তার ব্যাখ্যা দিয়ে মমতা বলেন, “এবার কেন বৃষ্টি হয়নি বলুন তো? এবার নতুন খেলা শুরু হয়েছে। চোখ দিয়ে জল নয়, এবার আগুন বেরবে।”
দুপুর ২.০৯:
মমতা বলেন, “এবারে খেলায় বোল্ড আউট করতে হবে। একেবারে ছক্কা মারতে হবে।”
দুপুর ২.০৭:
সিপিএমকে ‘লড়াকু’ মমতার তোপ, “মনে নেই হাজরা মোড়ে সেদিন আমায় মারতে মারতে প্রায় মেরেই ফেলেছিলেন। মাথা ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছিল। শুধু এক্সারসাইজ করি বলে আর হাঁটি বলে এখনও চলছি। আপনাদের ১০ জনকে আমি একাই লড়ে নিতে পারি।”  
দুপুর ২.০৫:
“১০টা ব্রিগেডের সমান মানুষের ভিড় জমেছে”, জনপ্লাবনে আবেগাপ্লুত মমতা।
দুপুর ২.০৪: পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরার আহ্বান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
দুপুর ২.০৩:
মোদিকে মমতার আক্রমণ, “কাজ করবে রাজ্য। আর ফিতে কাটবেন আপনি। দু’টি ফ্লাইওভার উদ্বোধন করলেন, বললেন না রাজ্য টাকা দিচ্ছে।”
দুপুর ২.০২:
মমতা বলেন, “আগামী ২৬ জুলাই তৈরি হোন। আগামী ২৭ জুলাই নানুর দিবস থেকে রাজ্য জুড়ে সব ভাষাভাষীদের নিয়ে প্রতি শনি ও রবিবার মিছিল, মিটিং করুন।” 
দুপুর ২.০১:
মমতার আরও বার্তা, “আগে কলকাতা কী ছিল, আজকে কী হয়েছে। আগে বাংলা কী ছিল, আজকে কী ছিল। তুমি জ্বলে যাও আর লুচির মতো ফুলে যাও। আমি লড়াই থেকে বিচ্যুত হব না।”

দুপুর ১.৫৭: ওড়িশায় কিশোরীর অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় সরব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারী নির্যাতন নিয়ে বিজেপি শাসিত সরকারকে তোপ দেগে বললেন, ”জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হল, কিছু বললে না তো?”

দুপুর ১.৫৩: “প্রয়োজনে ফের ভাষা আন্দোলন হবে”, ‘অমর একুশ’ থেকে বাংলা ভাষা রক্ষার ডাক মমতার।
দুপুর ১.৫২: “আমার রাজ্যে থাকবে আর পোস্টার ছিঁড়বে”, পোস্টার ছেঁড়া কাণ্ডে তোপ মমতার। 
দুপুর ১.৫১:
অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে মমতার খোঁচা, “অসমের মুখ্যমন্ত্রী আপনি অসম সামলাতে পারছেন না। আর বাংলায় নাক গলাচ্ছেন। সুস্মিতা দেবকে বলব দরকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। দরকার হলে আমরা সবাই যাব। দেখব কতজনকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখেন।”
দুপুর ১.৪৯:
মমতার হুঁশিয়ারি, “বাংলাভাষীদের উপর অত্য়াচার হলে ছেড়ে দেব না। আমি ধরলে ছাড়ি না। আমাদের আটকে রাখা যায় না। রোখা যায় না।”  
দুপুর ১.৪৫:
কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে মমতার চ্যালেঞ্জ, ”সর্বনাশা আইন বাতিল করব। বাংলায় হাত দিলে কমিশন ঘেরাও করব আমরা। কিছুতেই বাংলা, বাঙালির উপর অত্যাচার মানব না।”

দুপুর ১.৩৯: মঞ্চে মমতার পাশে কোচবিহারের রাজবংশী বাসিন্দা, অসম থেকে এনআরসি নোটিস পাওয়া উত্তমকুমার ব্রজবাসী। তাঁর হাত ধরে ‘দিদি’র প্রশ্ন, ”এই ভাইকে কেন নোটিস দিল অসমের বিজেপি সরকার? কী অধিকার? জবাব দাও।” বললেন, ”কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে দেব না। কাউকে ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাতে দেব না।”

Mamata-Brajabasi

দুপুর ১.৩৫: নাগরিকত্ব, এনআরসি ইস্যুতে বিজেপির ‘সর্বনাশা’ পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দেখালেন নোটিসও। বাংলাদেশিদের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিয়ে বিজেপির নোটিস পাঠানো নিয়েও সরব হলেন তিনি। তাঁর কথায়, ”বাংলা ভাষার উপর চলছে বিশাল সন্ত্রাস। কে কোন ভাষায় কথা বলবে, কে কী খাবে, তা নিয়েও বলে দেবে! জেনে রাখবেন, এখানে সবার অধিকার রক্ষিত হবে।” 

দুপুর ১.২৭: অপেক্ষার অবসান! মঞ্চে বক্তা ‘দিদি’। উপস্থিত সকলকে শ্রদ্ধা জানিয়েই সুর চড়ালেন বিজেপির বিরুদ্ধে। শহিদ দিবসের কথা মনে করিয়ে তাঁর চ্যালেঞ্জ, ”৩৩ বছর আগে শুরু হওয়া আমাদের এই লড়াই চলবে, যতদিন না দিল্লি থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে পারি। অনেক অত্যাচার, অনেক লড়াই করে এতদূর এসেছি। লড়াই চলবে।” সেইসঙ্গে রাজ্যের  বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের খতিয়ান দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

দুপুর ১.১৮: বাঙালি হেনস্তা, কোচবিহারের রাজবংশী বাসিন্দাকে অসম ফরেন ট্রাইব্যুনালের নোটিস পাঠানো নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন অভিষেক। এর বিরুদ্ধে রাজ্যবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বললেন তিনি। বিজেপির দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তৃণমূল সাংসদ বললেন, ”এখন বাঙালি প্রমাণে মরিয়া বিজেপি ‘জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা’ বলছে।এবার ওদের দিয়ে ‘জয় বাংলা’ বলাব।” নাতিদীর্ঘ বক্তব্য তিনি শেষ করলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুলেই।

 দুপুর ১.০৬: একুশের মঞ্চে বক্তব্য রাখছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গোড়া থেকেই বিজেপিকে নিয়ে আক্রমণাত্মক তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বললেন, ”বিজেপির কাছে গোদি মিডিয়া, ইডি, সিবিআই, ইসি থাকা সত্ত্বেও বাংলা জিততে পারেনি। কারণ, তৃণমূলের যা কর্মী-সমর্থক আছে, তার একটিও বিজেপিতে নেই।” মনে করালেন চব্বিশের বেঁধে দেওয়া স্লোগান – ‘জনতার গর্জন, বাংলা বিরোধীদের বিসর্জন।’ ২০১৯ সালের অমিত শাহর ভোটপ্রচার চলাকালীন কলকাতায় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনা স্মরণ করিয়ে বিজেপিকে কার্যত তুলোধোনা করলেন অভিষেক। 

দুপুর ১২.৫২: ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সভাস্থলে পৌঁছলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে তেহট্টের শহিদ জওয়ান ঝণ্টু আলি শেখ এবং পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর পরিবার। তাঁদের সকলকে উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানালেন মমতা। দুই পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করলেন তিনি। জানালেন, দলের সব কর্মী ১ টাকা করে দিয়েছেন তাঁদের সাহায্যার্থে।

দুপুর ১২.৫০: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা ইস্যুতে সরব রাজ্যের ক্রীড়া ও পূর্তদপ্তরের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বললেন, ”ভারতের মুক্তিসূর্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে ২০২৬ এ ছাব্বিশে নামিয়ে আনতে হবে। কারণ তারা বাংলা বিরোধী। বাংলার টাকা দেয় না। ১ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা আমাদের পাওনা। বিজেপি বাংলাকে ভাতে মারতে চায়। উন্নয়নে পারছে না এরা, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে।”

দুপুর ১২.৪৪: শহিদ সমাবেশে বক্তব্য রাখলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। বললেন, ‘‘বিজেপি যবে থেকে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে, তবে থেকে সাম্প্রদায়িকতায় উসকানি দেওয়া চলছে। এটা স্বামী বিবেকানন্দের বাংলা, রবীন্দ্রনাথের বাংলা। ভাগাভাগির রাজনীতি এখানে হবে না। আমি বলছি, আমি বাংলায় কথা বলি। দেখি তো কেমন আমাকে বাংলাদেশে পাঠাতে পারে। আমাকে বরং ডিটেনশন  ক্যাম্পে পাঠিয়ে দিক।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ”বাইরে যাঁরা কাজ করতে যান, তাঁরা আমাদের ভাই, অন্য রাজ্য থেকে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা আমাদের ভাই। বাংলা আমাদের মিলনতীর্থ।”

দুপুর ১২.৩৪: একুশের মঞ্চে এনআরসি ইস্যুতে বিজেপি বিরোধিতায় সরব রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। তাঁর কথায়, ”শিলচরের মেয়ে আমি, ভাষা শহিদের মাটি। অসম প্রথম থেকে বঞ্চিত। অনুপ্রবেশের রাজনীতি নিয়ে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভাজনের রাজনীতি করছে। বিভাজনের রাজনীতি করছে এই ডবল ইঞ্জিন সরকার। প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, বিজেপি অসমে গত ১০ বছরে অনুপ্রবেশ রুখতে কী পদক্ষেপ করেছেন? অসমের গোয়ালপাড়া সব থেকে বড় ডিটেনশন ক্যাম্প। আমরা এনআরসি মেনে নিয়েছিলাম। ৬ বছর আমরা কাগজ দেখিয়েছি। কিন্তু সমাধান হয়নি। ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গেছে। কাদের নাম বাদ গেল? হিন্দু বাঙালি, হিন্দু অসমিয়া, মুসলমান সবার নাম। এর কোনও সমাধান হয়নি। ২৬ এর ভোটে বিজেপিকে রুখতে হবে। না হলে বাংলা ভাষাকেও মোদি অনুপ্রবেশের ভাষা বলে দেবে। ২৬ এ আপনারা বাংলায় লড়বেন, আমরা ‘বিজেপি হঠাও অসম বাঁচাও’-এর জন্য লড়াই করব।” 

দুপুর ১২.২৬: ধর্মতলার সভাস্থলে পৌঁছলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদদের ছবিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন।

ধর্মতলার সভামঞ্চে পৌঁছলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

দুপুর ১২.২০: সময় যত গড়াচ্ছে, ধর্মতলায় ভিড় ক্রমশই বাড়ছে। যতদূর চোখ যায়, শুধুুই মানুষের মাথা আর মাথা। 

ধর্মতলায় ভিড়। ছবি: পিন্টু প্রধান।

দুপুর ১২.১৬: তৃণমূলের একুশের মঞ্চে সেলেব্রিটি উপস্থিতি। এলেন টলিউডের একঝাঁক অভিনেতা – ভরত কল, রিমঝিম গুপ্ত, দেবলীনা কুমার, তৃণা সাহা।

দুপুর ১২.১৩: আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার বার্তায় সরব রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। একুশের মঞ্চে বিজেপিকে তোপ দেগে বললেন, ”তৃণমূলের ঝান্ডা আরও শক্ত করে ধরে তোমাদের উৎখাত করবই।”

মঞ্চে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।

দুপুর ১২.০২:  নাগরিকত্ব নিয়ে একুশের মঞ্চে ক্ষোভপ্রকাশ মতুয়াগড়ের জনপ্রতিনিধি মমতাবালা ঠাকুরের। তাঁর অভিযোগ, ”নাগরিকত্বের নামে টাকা নিচ্ছে বিজেপি। শান্তনু ঠাকুর মতুয়াদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। আমরা বরাবর মতুয়াদের পাশে থেকেছি, পাশে থাকব। দিদি আমাদের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। বিজেপি কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কার্যক্ষেত্রে কিছুই করেনি। শান্তনু ঠাকুর নিজেই আজ মতুয়াদের মধ্যে ফাটল ধরিয়েছেন।”

বেলা ১১.৫৩: একুশের মঞ্চে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। ১৯৯৩ সালে আজকের দিনের ইতিহাস স্মরণ করালেন। মনে করিয়ে দিলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় তা ছিল এক বড় লড়াই। সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে সেই রক্তক্ষয়ী আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি। সেদিনের শহিদদের স্মরণেই আজকের সভা।

বেলা ১১.৫০:  তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখ  আঁকা শাড়িতে কলকাতার পথে পাণ্ডবেশ্বরের মহিলা ব্রিগেড। তাঁদের কথায়,”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের হৃদয়ে। এবার আমরা তাঁকে অঙ্গে ধারণ করলাম। দিদির আঁচলে আমরা নিরাপদ। বিজেপির কাজ শুধু অপপ্রচার করা। এ রাজ্যের মায়েরা ও বোনেরা সম্পূর্ণ নিরাপদ।”

ছবি: সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।

বেলা ১১.৪২: মনে ‘দিদি’, সাজে চ্যাপলিন! চার্লি চ্যাপলিন সেজে ধর্মতলায় তৃণমূলের সভাস্থলে নজর কাড়লেন সমর্থক।

তৃণমূলের ‘চ্যাপলিন’ সমর্থক। ছবি: সুমন দাস।

বেলা ১১.৩৪: ‘দিদি’র দান! ঘাটাল থেকে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ হাতে ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের সভাস্থলে মহিলা সমর্থকরা।

ঘাটাল থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হাতে ধর্মতলায় মহিলারা। ছবি: সুমন দাস।

বেলা ১১.২৯: ময়দানের কাছে ভাষা শহিদ উদ্যানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন তাঁর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী।

কলকাতায় শহিদ স্মরণ ফিরহাদের। ছবি: অরিজিৎ সাহা।

বেলা ১১.২০: একুশের মেগা ইভেন্টেও কলকাতার রাস্তায় যান চলাচল মসৃণ। ভালোভাবে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য কলকাতা পুলিশকে দরাজ সার্টিফিকেট বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। এর আগে এই বিষয়টি নিয়েই হাই কোর্টে পুলিশকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।

বেলা ১১.০২: ভিড় এড়াতে হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত।

ছবি: হাওড়া ব্রিজ।

সকাল ১০.৪৫: হাওড়া স্টেশনে দলীয় পতাকা হাতে কর্মী, সমর্থকদের বিশাল মিছিল। গন্তব্য ধর্মতলা, তৃণমূলের একুশ জুলাইয়ের মঞ্চ।

হাওড়া স্টেশন থেকে মিছিল। ছবি: অরিজিৎ গুপ্ত।

সকাল ১০.২২: সকালে যশোর রোডে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জেরে তীব্র যানজট। দুর্ঘটনার প্রতিবাদে অবরোধ, আটকে পড়ল ধর্মতলামুখী তৃণমূল কর্মীদের বাস।

সকাল ১০.১৬: একুশ জুলাইয়ের গুরুত্ব বর্ণনা, সোশাল মিডিয়া পোস্টে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

সকাল ১০.০৩: হাওড়া থেকে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হুগলির সেলেব সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জনতার ভিড় দেখে আপ্লুত তিনি। 

সকাল ৯.৫৪: দুর্গা সেজে খড়গপুর থেকে ধর্মতলামুখী এক সমর্থক। তাঁর সঙ্গে পা মেলানো মহিলা সমর্থকদের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ। 

খড়গপুরে দুর্গাসাজে সমর্থক। ছবি: সৈকত সাঁতরা।

সকাল ৯.৪৫: হরিণঘাটার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছোট-বড় মোট ৫০ টি গাড়ি করে হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রওনা দিলেন কলকাতার ধর্মতলায় শহিদ দিবসের সভায় যোগ দেওয়ার উদ্দেশে। নেতৃত্বে রয়েছেন হরিণঘাটা শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম সাহা ও হরিণঘাটা পুরসভার পুরপ্রধান দেবাশিস বসু-সহ উপপুরপ্রধান সঞ্জীব রাম।

সকাল ৯.৩০: ১৯৯৩সালের ২১ জুলাই গণতন্ত্র আদায়ের দাবিতে কারা শহিদ হয়েছিলেন? ১৩ জনের নাম প্রকাশ করে শহিদ তর্পণ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। 

সকাল ৯.০৩: আসানসোল পৌর নিগমের বরো চেয়ারম্যান ডাক্তার দেবাশিস সরকার নিজেই বাস চালিয়ে সমর্থকদের নিয়ে গেলেন ধর্মতলায়।

আসানসোল থেকে নিজে বাস চালিয়ে আসছেন পুরসভার বরো চেয়ারম্যান। ছবি: মৈনাক মুখোপাধ্যায়।

সকাল ৮.৫৯: গঙ্গাসাগর থেকে ধর্মতলা রওনা দিলেন কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী, সমর্থক। দক্ষিণ ২৪ পরগনর কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট থেকে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা-সহ কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থকরা ভেসেল করে জলপথে রওনা দিয়েছেন। সকলের সঙ্গে দলীয় পতাকা।

সুন্দরবন থেকে নৌকায় চড়ে আসছেন কর্মী, সমর্থকরা। ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর।

সকাল ৮.৫০: পুলিশকে দেওয়া কলকাতা হাই কোর্টের শর্ত অনুযায়ী,  সকাল ৯টার পর ধর্মতলামুখী কোনও মিছিল ছাড়া হবে না। তার আগে পর্যন্ত সমস্ত জেলা থেকে আসা কর্মী, সমর্থকদের মিছিল পৌঁছে দিতে হবে সভাস্থলে। তবে সকাল থেকে ভিড়ের যা চিত্র, তাতে এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা পুলিশের পক্ষে কতটা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।

পুলিশি প্রহরায় ঘেরা ধর্মতলা চত্বর। নিজস্ব ছবি।

সকাল ৮.৩৬: ধর্মতলায় তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট ঘিরে কলকাতার পথে কড়া পুলিশি প্রহরা, নিয়ন্ত্রিত যানচলাচল। একনজরে দেখে নিন, কোন কোন পথ আজ এড়িয়ে যাবেন –

* আমহার্স্ট স্ট্রিট
* বিধান সরণি
* কলেজ স্ট্রিট
* ব্রাবোর্ন রোড
* বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট
* স্ট্র্যান্ড রোড
* বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট
* নিউ সিআইটি রোড
* রবীন্দ্র সরণি

ছবি: পিন্টু প্রধান।

সকাল ৮.২৩: একুশের সমাবেশে যোগ দিতে সল্টলেকের করুণাময়ী মেলার মাঠে ছিলেন উত্তরবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল কর্মীরা। সকাল হতেই একে একে বাস রওনা দিচ্ছে তাঁদের হয়ে।

ছবি: বিধান নস্কর।

সকাল ৭.৩৭: কল্যাণী থেকে কলকাতায় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। চাকদহ থেকে জগন্নাথদেবকে কোলে নিয়ে ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা।  

ছবি: সুবীর দাস।

সকাল ৭.২০: জেলার সব পথ আজ ধর্মতলামুখী। ভোরের লোকাল ট্রেনে তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভিড়। দ্রুত সকলে পৌঁছতে চান তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভামঞ্চে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement