সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাত চরমে। ফের রাজ্যপাল পদ থেকে জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankar) ইস্তফা চাইল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তাঁদের দাবি, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় ইন্ধন যোগাচ্ছেন ধনকড়। তিনি আর রাজ্যপাল পদে থাকার যোগ্য নন। প্রসঙ্গত, গতবছরের শেষের দিকেও রাজ্যপালকে সরানোর দাবি জানিয়েছিল রাজ্যের শাসকদল।
রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে বেনজির সংঘাতে জড়িয়েছেন ধনকড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর সেই সংঘাত কমার বদলে আরও বেড়েছে। শপথের দিন থেকেই ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুরু করেছেন রাজ্যপাল। কার্যত রাজ্য প্রশাসনকে অন্ধকারে রেখেই রাজ্যের ‘হিংসা কবলিত’ এলাকাগুলি পর্যবেক্ষণে বেরিয়েছেন তিনি। শুক্রবার রাজ্য ও রাজ্যপালের এই দ্বন্দ্ব নতুন মাত্রা পেয়েছে।.বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে অসমে গিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে গিয়েছেন ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। তাঁর দাবি, “বাংলা থেকে বহু মানুষ হিংসার কবলে পড়ে অসমে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। পছন্দ মতো দলকে ভোট দেওয়ার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নির্বিচারে আক্রান্ত হতে হচ্ছে বিরোধীদের। অথচ, পুলিশ প্রশাসন কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ। রাজ্যে বেলাগাম অরাজকতা চলছে। রাজ্যের পরিস্থিতি ভয়াবহ। আর সহ্য করা যাচ্ছে না।”
ধনকড়ের এই ‘শরণার্থী শিবির’ সফর নিয়ে সরব রাজ্যের শাসকদল। তাঁদের দাবি, , বেছে বেছে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন রাজ্যপাল। তৃণমূল কর্মীরাও আক্রান্ত হয়েছেন, অথচ তা নিয়ে মাথাব্যাথা তাঁর নেই। তৃণমূল সাংসদ শুখেন্দুশেখর রায় আবার সরাসরি ধনকড়ের ইস্তফা চেয়েছেন। তাঁর সাফ কথা,”দিল্লির শাহেনশাদের এজেন্ট ধনকড়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে হিংসায় ইন্ধন দিচ্ছেন তিনি। বিজেপি নেতার মতো কাজ করছেন। তিনি রাজ্যপালের পদে থাকার যোগ্যই নন। দ্রুত তাঁকে অপসারণ করা উচিত।”
প্রসঙ্গত, এর আগে গতবছর ডিসেম্বর মাসে রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। সেই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.