Advertisement
Advertisement
Jiban Krishna Saha

‘চক্রান্তের শিকার’, ইডির গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়া জীবনকৃষ্ণের

বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর বেরনোর সময় এমনই দাবি করেন তিনি।

TMC MLA Jiban Krishna Saha's first reaction after ED's arrest

জীবনকৃষ্ণ সাহাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হচ্ছে। ছবি: অরিজিৎ সাহা 

Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 25, 2025 6:35 pm
  • Updated:August 25, 2025 6:40 pm  

অর্ণব আইচ: সিবিআইয়ের পর এবার ইডির জালে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার। তাঁর গ্রেপ্তারির নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন খোদ বিধায়ক। সোমবার বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর বেরনোর সময় এমনই দাবি করেন তিনি।

Advertisement

এদিন সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, সত্যি কি ইডিকে দেখতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন? মোবাইল ছুড়ে ফের পুকুরে ফেলে দেন? দু’টি প্রশ্নে ‘না’ জবাব দেন ধৃত তৃণমূল বিধায়ক। তিনি নিজেকে ‘চক্রান্তের শিকার’ বলেও দাবি করেন। শারীরিক পরীক্ষার পর তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, ইডি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বিধায়ককে জেরা করার আর্জি জানাবে।

বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বছর দুই আগে। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা গ্রেপ্তার করেন। সেসময় প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে বিধায়ক নিজের মোবাইল ফোন বাড়ির পিছনে পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। জীবনকৃষ্ণর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে নিজের এলাকার বহু মানুষের চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন। মোটা টাকার বিনিময়ে সেসব চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন বড়ঞার বিধায়ক। তাঁর বাড়ি থেকে তার কিছু কিছু প্রমাণও মেলে বলে দাবি করে সিবিআই। গত বছর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দুর্নীতি মামলায় জামিনে মুক্তি পান জীবনকৃষ্ণ সাহা।

এসএসসি মামলার তদন্তে সোমবার সকালে তাঁর বাড়িতে ইডি তল্লাশি চালায়। সূত্রের খবর, ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ, দু’বছর আগেকার ‘চিত্রনাট্য’ অনুযায়ী মোবাইলও ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরে। কিন্তু কোনওভাবেই রক্ষা হয়নি। তাঁকে ধরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের সঙ্গে একেবারেই সহযোগিতা করেননি বিধায়ক। ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সদুত্তর না পেয়ে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement