ফাইল ছবি।
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কসবায় আইনের ছাত্রীর গণধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর মন্তব্যের জেরে দলের ভাবমূর্তির কোনও ক্ষতি হলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের শোকজ চিঠির জবাবে লিখিতভাবে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। মদন মিত্র এও জানিয়েছেন, এবার থেকে দলের অনুশাসন মেনেই চলবেন।
কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর অভিযোগ নিয়ে পুলিশি তদন্ত চলছে জোরদার। অভিযুক্তরা ১২ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার হয়ে গিয়েছে, বিচারপ্রক্রিয়া এগোচ্ছে। এমন সময়ে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্যাতিতার চালচলন নিয়েই আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর সেই মন্তব্য কার্যত আগুনে ঘি ঢালে। শাসকদলের জনপ্রিয় নেতার এই মন্তব্যের দায় পরোক্ষে এসে পড়ে দলেরই উপর। মদন মিত্রর এহেন মন্তব্য দলের ভাবমূর্তিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলছে, জানিয়ে রবিবার তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি তাঁকে শোকজ চিঠি পাঠান। তিনদিনের মধ্যে তাঁর জবাব চাওয়া হয়।
তবে সময়সীমার অনেক আগে, সোমবার রাতেই মদন মিত্র শোকজের জবাব দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সুব্রত বক্সিকে সংক্ষিপ্ত চিঠি লিখে নিজের কুমন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিলেন। জানিয়েছেন, তাঁর কথায় দলের ভাবমূর্তির কোনওরকম ক্ষতি হলে তিনি অত্যন্ত দুঃখিত, নিঃশর্তে ক্ষমা চাইছেন। তবে কী কারণে তিনি ওই মন্তব্য করেছেন, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন বলে খবর। সেইসঙ্গে কামারহাটির বিধায়ক এও জানিয়েছেন, এবার থেকে তিনি দলের অনুশাসন মেনে চলবেন। কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকবেন। যদিও কসবা কাণ্ড নিয়ে দলের আরেক জনপ্রতিনিধি, বর্ষীয়ান সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তা দল সমর্থন করেনি, সতর্কও করা হয়েছিল সাংসদকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.