Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়, বাংলার প্রতি অসম্মানের বহিঃপ্রকাশ! নীতি আয়োগের ম্যাপ বিভ্রাটে সরব মমতা

নীতি আয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মমতা।

TMC Supremo Mamata Banerjee questions Niti Ayog over map controversy
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 9, 2025 4:33 pm
  • Updated:July 9, 2025 4:37 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতি আয়োগের বার্ষিক রেকর্ডে বিশ্রী ‘ভুল’। প্রচ্ছদে বাংলাকে দেখানো হল বিহারের জায়গায়। বলা ভালো, বিহারকে দেখানো হয়েছে বাংলা হিসাবে। যার প্রতিবাদে এবার ফুঁসে উঠলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করলেন, এটা কোনও অনিচ্ছাকৃত ভুল নয়। এটা রাজ্যের প্রতি অসম্মানের বহিঃপ্রকাশ।

Advertisement

নীতি আয়োগ। কেন্দ্র ও রাজ্য সমন্বয়ের সর্বোচ্চ মঞ্চ। অথচ সেই নীতি আয়োগের বার্ষিক রেকর্ডে বিশ্রী ভুল। বাংলা সংক্রান্ত নীতি আয়োগের রিপোর্টের যে প্রচ্ছদ তৈরি হয়েছে সেই প্রচ্ছদের ম্যাপে বাংলাকে দেখানো হয়েছে বিহারের জায়গায়। এই ‘বিভ্রাট’ নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সরব রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তৃণমূল নয়, রাজ্য সরকারের তরফেও ক্ষোভ প্রকাশ করা হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারপার্সনকে চিঠি লিখে অবিলম্বে ওই ভুল সংশোধন করার দাবি জানালেন। মমতার বক্তব্য, নীতি আয়োগের মতো সংস্থার এই ভুল, তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “দেশের প্রথম সারির নীতি নির্ধারক সংস্থার সরকারি নথিতে এই ভুল অনিচ্ছাকৃত বা ব্যবহারিক ভুল হতে পারে না। এটা আসলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রতি অসম্মানের প্রতিফলন। নীতি আয়োগের নথিতে এই মহাবিভ্রান্তিকর তথ্য সংস্থার অধ্যাবসায় এবং রাজ্যগুলির প্রতি সম্মানের ঘাটতির প্রমাণ।” এরপর সোজা নীতি আয়োগের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “এই ভুল নীতি আয়োগের কর্মপদ্ধতি নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিল। যে সংস্থার উপর নাগরিক এবং নীতি নির্ধারকরা নীতি প্রণয়নের জন্য ভরসা করে, সেই সংস্থার মান নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। নীতি আয়োগে প্রকাশিত রিপোর্টগুলির বিশ্বাসযোগ্যতাও এবার প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল।”

মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে রাজ্য সরকারের তরফে এই কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেন। তাঁর দাবি, অবিলম্বে নীতি আয়োগকে এ বিষয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং ভুল সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে। উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের উপর আগেও অনাস্থা দেখিয়েছেন মমতা। একাধিক বৈঠকে তলব পেয়েও যাননি। এবার ওই সংস্থার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ