ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার: আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২১ জুলাইয়ে শহিদ স্মরণসভার প্রস্তুতি নিয়ে আজ, শনিবার ভবানীপুরে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। দলের সমস্ত জেলার সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান ও বীরভূম এবং উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্যদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছে।
প্রস্তুতি বৈঠকে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রীকেও ডাকা হয়েছে। বেলা ১টায় ওই বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবারই কলকাতায় পৌঁছেছেন বীরভূমের প্রাক্তন জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। উত্তরবঙ্গ-সহ দূরের জেলার অনেক সভাপতি এবং চেয়ারম্যানও শুক্রবার রাতের মধ্যে শহরে পৌঁছে গিয়েছেন। অনেকে আবার তৃণমূল ভবনে এসে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও আগাম দেখা করেছেন। ইতিমধ্যে দলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গত কয়েক বছরের মতো এবারও রাজ্য কমিটির তরফে দেওয়া সিডি মেনেই পোস্টার ও ব্যানার করতে হবে। দলীয় কমিটির নামেই ওই ব্যানার হবে। কোনও ব্যক্তির নাম দিয়ে ব্যানার বা পোস্টার করা যাবে না।
দলের ছাত্র-যুব ও মহিলা শাখার পাশাপাশি সমস্ত সংগঠনকে সর্বশক্তি দিয়ে এবার ‘ধর্মতলা চলো’ অভিযান সফল করতে হবে। কারণ, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের গাইডলাইন বেঁধে দেবেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বস্তুত, সেই কারণে এবারের শহিদ দিবস থেকেই যে দলের নির্বাচনী প্রচারের ঢাকে কাঠি পড়ে যাবে তা মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
রাজ্য তৃণমূল সভাপতি সুব্রত বক্সি আজ, শনিবার ভবানীপুরে দলের প্রস্তুতি বৈঠকে নেত্রীর দেওয়া গাইডলাইন স্পষ্ট জানিয়ে দেবেন বলে সূত্রের খবর। বিশেষ করে বীরভূম জেলায় দলীয় স্তরে একাধিক ইস্যুতে যে বিতর্ক চলছে তা নিয়েও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাব জানিয়ে দিতে পারেন সভাপতি। এছাড়াও ২১ জুলাই প্রতিটি জেলাতেই নেত্রীকে সামনে রেখে এবং রাজ্য সরকারের সাফল্য তুলে ধরে ব্লকে ব্লকে যে প্রচার করতে হবে তার গাইডলাইনও প্রস্তুতি বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হবে। একইসঙ্গে এবারের ধর্মতলা চলো কর্মসূচিতে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসুদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হবে।
আগেরবারের মতোই সল্টলেক স্টেডিয়াম, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর ছাড়াও উত্তর কলকাতার বিভিন্ন ধর্মশালা ও একাধিক কমিউনিটি হলেও দু’দিন আগে থেকে জেলার কর্মীদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে প্রতিবারের মতো এবারও পৃথক কাউন্টার খুলে সেখান থেকে কর্মীদের বিভিন্ন অস্থায়ী কেন্দ্রে পাঠানো হবে। ২১ জুলাই সমাবেশের দিন ধর্মতলাকে ঘিরে হেলথ ইউনিট এবং স্বেচ্ছাসেবকদের যে বাহিনী নামানো হবে তা নিয়েও আজ প্রস্তুতি বৈঠকে জানিয়ে দেবেন রাজ্য সভাপতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.