স্টাফ রিপোর্টার: বিধানসভা নির্বাচন সামনের বছর এপ্রিল-মে-তে। অর্থাৎ, তার আগে হাতে মাত্র এক বছর দু’মাস সময়। স্বভাবতই রাজ্য বিধানসভায় অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র আজ যে বাজেট পেশ করতে চলেছেন তাতে থাকবে একুশের ভোটের গন্ধ। দেশজুড়ে আর্থিক মন্দার মধ্যেও কীভাবে বাংলায় জিডিপির অগ্রগতিকে হাতিয়ার করে উন্নয়নের পথে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তারই কথা উল্লিখিত হবে বাজেটে।
সাধারণ মানুষের উপর কোনও বোঝা না চাপিয়ে এবারও ‘জনমুখী’ প্রকল্প ও স্লোগানকে সামনে রেখে দেখানো হবে নতুন দিশা। তবে প্রকল্পভিত্তিক উন্নয়নে যে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে, অর্থাৎ, কন্যাশ্রী থেকে সবুজসাথী, রূপশ্রী থেকে সমব্যথীর মতো প্রায় পঞ্চাশটি প্রকল্পে সাধারণ মানুষ যেভাবে উপকৃত হয়েছেন, তাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা থাকবে বাজেটে। অর্থাৎ সামাজিক প্রকল্পগুলিতে আরও জোর দেবেন অমিত মিত্র।
একদিকে বিপুল কেন্দ্রীয় দেনা আর বছরে পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার মতো সুদ দেওয়ার পর সরকারি কোষাগারে কত টাকা থাকে তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। তার মধ্যে নানা সংঘাতের জেরে কেন্দ্রীয় বরাদ্দও তলানিতে ঠেকেছে। এইরকম পরিস্থিতির মধ্যেও কীভাবে নিজের পায়ের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্য চলছে, উন্নয়ন হচ্ছে, তা প্রতিফলিত হবে এবারের বাজেটে। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে গোটা বাজেটটি তৈরি করেছে অর্থ দপ্তর। কী কী প্রয়োজন আছে, বা নেই, সবই দেখে নিয়েছেন মমতা। আজ, দুপুর দু’টোয় বিধানসভায় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট পেশের আগে ইতিপূর্বে চলতি বছরের অর্থবিল রাজভবনে পাঠিয়ে তার অনুমোদন নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী নিজে সেই অনুমতি চাইতে যান। যদিও প্রথমে তাতে অনিয়ম ছিল বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। তিনি দাবি করেছেন, কাগজ ছাড়াই অর্থ বিল অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। অর্থমন্ত্রী রাজভবনে এসে সেই বিল অনুমোদনের অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি রাজ্যপাল তা মানেননি। জানান, কাগজ না দেখে বিলে তিনি অনুমোদন দেবেন না। পরে দপ্তরের সচিব কাগজ নিয়ে তাঁকে দেখালে সেই বিল অনুমোদন করে দেন রাজ্যপাল। যার ব্যাখ্যায়, রাজ্যপাল এদিনই বলেছেন, “রাজ্যপাল ও সরকার একই গাড়ির দু’টি চাকা। দু’জনকেই একইসঙ্গে চলতে হবে। তিনি সরকারের কাজ আটকাবেন না। কিন্তু সংবিধানের মধ্যে থেকে রুল বুক মেনে চলবেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.