সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপালের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত। অথচ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা মঞ্চে হাজির রাজ্যের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শিক্ষা মহলে। মঙ্গলবার ধর্মতলার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেই টিএমসিপির ধরনা মঞ্চে যান পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, সিধু-কানহু বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তাঁদের সঙ্গে দেখা যায় বর্ধমান জেলা শিক্ষা আধিকারিককেও। যা নিয়ে জোর বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই রাজভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের বৈঠক ডেকেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) । কিন্তু, তাঁর ডাকা বৈঠকে রাজ্যের একজন উপাচার্যও হাজির হননি। তাঁদের যুক্তি ছিল, রাজ্যপালের চিঠি প্রোটোকল মেনে পাঠানো হয়নি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়া বিধি অনুযায়ী, উপাচার্যদের রাজ্যপাল তলব করতেই পারেন। কিন্তু, সেই চিঠি পাঠাতে হবে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে। উপাচার্যদের অভিযোগ, তাঁরা যে চিঠি পেয়েছেন, সেটি শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে আসেনি। সেই অজুহাতেই বৈঠক বয়কট করেছেন উপাচার্যরা। এখানেই ক্ষান্ত হননি তাঁরা। রাজ্যের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা আবার হাজির হয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা মঞ্চে। যেটা কিনা রাজনৈতিক মঞ্চ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, রাজ্যপালের ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে না গিয়ে রাজনৈতিক মঞ্চে কী করে গেলেন উপাচার্যরা?
অপরদিকে, রাজ্যে এই প্রথমবার উপাচার্যদের একটি আলাদা সংগঠন তৈরি হয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে সভাপতি করে উপাচার্য পরিষদ নামের ওই সংগঠন তৈরি করা হয়েছে। সম্পাদক হয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সুবীরেশ ভট্টাচার্য। নতুন সংগঠনের সদস্যরা ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে তোপ দেগেছেন। এই আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য জগদীপ ধনকড়। তিনি বলছেন, রাজ্য সরকারের ইঙ্গিতে কাজ করছেন উপাচার্যরা। রাজ্যকে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে, তৃণমূলের তরফে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালের ডাকা বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে তাঁকে ‘বিবৃতি পাল’ বলে কটাক্ষ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.