অর্ণব আইচ: আদালতে গরহাজির IIM জোকার নির্যাতিতা। সোমবার তাঁর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও আদালতে দেখা মিলল না তাঁর। কিন্তু কেন? তা অজানা। এদিকে নির্যাতিতার বাবার যে বক্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিলেন সরকারি আইনজীবী।
IIM জোকা কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। নির্যাতিতা তরুণীর দাবি, আইআইএম জোকার দ্বিতীয় বর্ষের অভিযুক্ত ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়ার সঙ্গে সোশাল মিডিয়ায় আলাপ। কাউন্সেলিং করানোর কথা বলে যুবক। সেই অনুযায়ী তাঁকে হস্টেলে ডেকে পাঠায়। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১১.৪৫ মিনিটে হস্টেলে যান তরুণী। মধ্যাহ্নভোজ সারেন। পিৎজা এবং মাদক মেশানো জল খাওয়ানো হয় তাঁকে। অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। শৌচালয়ে যেতে চাইলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তরুণীর দাবি, ওই যুবক তাঁকে মারধরও করে। এরপর অচৈতন্য হয়ে পড়েন। হুঁশ ফেরে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে। প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় যান। সেখান থেকে হরিদেবপুরে যান। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার পরদিনই বিস্ফোরক দাবি করেন নির্যাতিতার বাবা। বলেন, ধর্ষণই নাকি হয়নি। তরুণীকে এমন বয়ান দিতে বলা হয়েছিল বলেই দাবি তাঁর। সোশাল মিডিয়ায় বিদ্যুতের গতিতে ছড়িয়েছে সেই ভিডিও। এদিন আদালতেও উঠল সেই প্রসঙ্গ। সোমবার আলিপুর আদালতে গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা ছিল নির্যাতিতার। কিন্তু তিনি হাজিরই হননি। অভিযুক্তের আইনজীবীর কথায়, এই দায়িত্ব পুলিশের। এরপরই পুলিশের কাছে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেন বিচারক। এদিকে সরকারি আইনজীবীর কথায়, তরুণীর বাবার বয়ান খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে এদিন কেন আদালতে হাজিরা দিলেন না নির্যাতিতা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.