সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেদিনও ছিল ২১ জুলাই। সালটা ছিল ১৯৯৩। তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাইটার্স অভিযানে নেমেছিলেন যুব কংগ্রেসের সমর্থকরা। কেবলমাত্র সচিত্র পরিচয়পত্রের মাধ্যমেই ভোটাধিকার দেওয়া হোক। এই দাবিতেই মহাকরণের দিকে এগিয়ে চলেছিল সে সময়ের যুব কংগ্রেসের সমর্থকরা। যাঁদের উপর নির্মমভাবে অত্যাচার চালিয়েছিল পুলিশ। চলেছিল গুলি। শহিদ হয়েছিলেন ১৩ জন সমর্থক। আহত আরও অনেকে। আঘাত পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অতীতের সেই সংগ্রামই আজকের শহিদ দিবস।
[মঞ্চ ভেঙে পড়বে না তো? মোদির সভায় দুর্ঘটনার জেরে প্রশ্ন ‘সাবধানী’ মমতার]
আজও ২১ জুলাই। আকাশের মুখ ভার থাকলেও মানুষের ঢল নেমেছে ধর্মতলা চত্বরে। কিন্তু আজকের এই ভিড় কি মনে রেখেছে ২৫ বছর আগের সেদিনের সেই ইতিহাস? কিন্তু কেন পালন করা হয় আজকের দিনটি? কেন এই সমাবেশ? আজকের জনতা কী জানে? উত্তর খুঁজতে পথে নেমেছিল Sangbad Pratidin Digital। জানেন কী বললেন মানুষ? দেখে নিন এই ভিডিওটিতে।
ভিডিও: মণিশংকর চৌধুরি
[স্মৃতিতে ২১ জুলাই: ‘ভাগ্যিস সেদিন বিকাশদা ছিল, নাহলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ত’]
ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ এসে ভিড় জমিয়েছেন ধর্মতলা চত্বরে। কেউ এসেছেন কোচবিহার থেকে, কেউ বারাকপুর থেকে। কেউ জানেন এদিনের মাহাত্ম্য, কেউবা জানেন না। কিন্তু একজনের টানেই সকলে এসে ভিড় জমিয়েছেন। তিনি আর কেউ নন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ দিবসের ২৫তম বছরে তিনি কি আজ ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের জন্য লড়াইয়ের ডাক দেবেন? ডাক দেবেন ৪২ আসন দখলের? সেই দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ। কেবল পশ্চিমবঙ্গ নয় গোটা দেশের নজর আজ থাকবে একুশের মঞ্চে। কারণ দেশের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বর্তমান পরিস্থিতিতে। শোনা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই লড়াইয়ের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বিরোধীরা। জোটভিত্তিক রাজনীতি চালাতে কংগ্রেসেরও তৃণমূলকেই প্রয়োজন।
[শহিদদের শ্রদ্ধা জানাতে বর্ধমান থেকে হেঁটে একুশের মঞ্চে ২৫ তৃণমূল কর্মী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.