Advertisement
Advertisement
BJP

বিধানসভা ভোটের আগে আদিবাসী ‘তাস’! ঘরোয়া ‘দ্বন্দ্ব’ ভুলে পথে বঙ্গ বিজেপি নেতা-নেত্রীরা

মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিজেপি নেতানেত্রীরা।

WB BJP stage protest against tribal humiliation
Published by: Sayani Sen
  • Posted:October 15, 2025 4:34 pm
  • Updated:October 15, 2025 4:34 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খগেন মুর্মু, মনোজ টিগ্গা-সহ আদিবাসী সমাজের উপর হামলার প্রতিবাদ। বুধবার দুপুরে প্রতিবাদ মিছিল বিজেপির। এদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন তাঁরা। মিছিল শেষে ডোরিনা ক্রসিংয়ে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিজেপি নেতানেত্রীরা।

Advertisement

এদিনের মিছিলে দেখা যায় সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শংকর ঘোষ, রাহুল সিনহার মতো বঙ্গ বিজেপির প্রথম সারির নেতা-নেত্রীদের। মিছিলে কারও হাতে ছিল তির-ধনুক। সঙ্গে ধামসা, মাদল। বলে রাখা ভালো, এদিন দুপুরে মেট্রোর ব্লু লাইনে ফের বিভ্রাট হয়। আবার তার উপর মিছিলের ফলে পথচলতি মানুষদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়। মাঝপথে একবার পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ায় গেরুয়া শিবির। মিছিল শেষে সভা থেকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “খগেন মুর্মুর রক্ত, হবে নাকো ব্যর্থ। আদিবাসী জনজাতি ও বিজেপি মিলে রাজ্য সরকারকে উৎখাত করবে।” রাজ্যের সরকার আদিবাসী বিরোধী বলে দাবি সুকান্ত মজুমদারের। বাংলার সরকার রাজ্যের জনজাতিদের অধিকার হরণের চেষ্টা করছে বলে তোপ দাগেন শংকর ঘোষ। বলে রাখা ভালো, নাগরাকাটায় খগেন মুর্মুর সঙ্গে জখম হন শংকরও। যদিও তৃণমূল এই মিছিলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেই নারাজ। রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে কুকথা বলতে শোনা যায় শুভেন্দুকে। তাই তারপর আর বিজেপির মুখে এসটি প্রেম মানায় না বলেই দাবি শাসক শিবিরের।

আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শাসক-বিরোধী উভয়ে নিজের মতো করে ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে খগেন মুর্মু এবং শংকর ঘোষের উপর হামলার দিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলে গেরুয়া শিবির। আবার এদিন আদিবাসী সমাজের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে রাজপথে মিছিল করে। রাজনৈতিক ওয়াকিবহালদের মতে, গত কয়েকবারের নির্বাচনে অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত বিজেপি মোটেও ভালো ফল করতে পারেনি। তাই আগামী বছরের নির্বাচন গেরুয়া শিবিরের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তাই এভাবে রাজ্যের শাসক শিবিরকে জোড়া চাপে ফেলতে চাইছে পদ্মশিবির।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ