Advertisement
Advertisement
Doctors

সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লাগাম টানল রাজ্য! জারি কড়া নির্দেশিকা

ঘড়ি ধরে টানা আট ঘন্টা হাসপাতালে কাজ করতেই হবে চিকিৎসকদের।

WB Govt issues new rules for Govt Doctors to avoid Private Practice
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 6, 2025 10:26 pm
  • Updated:January 6, 2025 10:30 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও কঠোর হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের কাজের নিয়ম। ঘড়ি ধরে টানা আট ঘন্টা হাসপাতালে কাজ করতেই হবে। সকাল নটা থেকে বিকেল চারটে পযর্ন্ত কোনওভাবেই করা যাবে না প্রাইভট প্র্যাকটিস। সোমবার একটি সরকারি আদেশনামা জারি করে জানানো হয়েছে, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য শুধুমাত্র নন-প্র্যাকিটিসিং অ্যালাওয়েন্স না-নিলেই চলবে না, এবার থেকে স্বাস্থ্য অধিকর্তা কিংবা স্বাস্থ্য–শিক্ষা অধিকর্তার থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)–ও নিতে হবে সরকারি ডাক্তারদের। সবচেয়ে বড় কথা, তারই সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরও এককাঠি ওপরের কড়াকড়ি— কর্মক্ষেত্রের ২০ কিলোমিটারের বাইরে করা যাবে না প্রাইভেট প্র্যাকটিস। অর্থাৎ, উত্তরবঙ্গের হাসপাতালে চাকরি করে কলকাতা-সহ সংলগ্ন প্রাইভেট প্র্যাকটিস চলবে না।

Advertisement

গত সপ্তাহেই সরকারি চিকিৎসকরা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না বলে আদেশনামা জারি করেছিল স্বাস্থ্য দপ্তর। তাতে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক চিকিৎসককে সপ্তাহে ন্যূনতম ৬ দিন এবং ৪২ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে। আরও বলা হয়েছিল, রাতে অন–কল ডিউটিতে কোনও চিকিৎসক থাকলে তিনি পরের দিন ‘ডে অফ’ নিতে পারবেন না। এমনকী, একই ইউনিটে দুজনের বেশি শিক্ষক-চিকিৎসক একসঙ্গে ছুটি নিতে পারবেন না এবং রোজ রাতে বিভিন্ন বিভাগের কোনও না কোন শিক্ষক-চিকিৎসককে থাকতে হবে ডিউটিতে। যথেচ্ছ প্রাইভেট প্র্যাকটিসে লাগাম টানতেই রস্টার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আর সোমবার এল আরও কড়া নির্দেশ। এর ফলে কলকাতা থেকে দূরবর্তী জেলায় কর্মরত সরকারি চিকিৎসকদের অধিকাংশই নন–প্র্যাকটিসিং অ্যালাউয়্যান্স না–নিলেও কার্যত আর প্রাইভেটে রোগী দেখতে পারবেন না।

স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে বিরক্ত সরকারি ডাক্তারদের একটা বড় অংশই। এ বিষয়ে সরকারি চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টর্সের সাধারণ সম্পাদক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা সম্পূর্ণ ভাবেই আমাদের হাত–পা বেঁধে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা। যাঁরা আর জি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারের পদক্ষেপ।” স্বাস্থ্যভবনের একাধিক কর্তা অবশ্য জানাচ্ছেন, বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, বেশ কিছু সরকারি ডাক্তার সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা ফাঁকি দিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে বেশি সময় দিচ্ছেন। দূরের বেসরকারি পরিসরে পরিষেবা দিতে হলে সরকারি কাজের সময় কম হচ্ছে। রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে। সে জন্যই এই কড়াকড়ি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ