ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বিধানসভায় অধিবেশনে নজিরবিহীন ঘটনা। চরম অসৌজন্য বিজেপির! যার জেরে বৃহস্পতিবার তাঁদের সমস্ত বক্তব্য মুছে দিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল বিধানসভায়। এর আগে বিজেপি বিধায়কদের আপত্তিকর কিছু শব্দ বা বাক্য মুছে দেওয়া হয়েছে বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে। কিন্তু এই প্রথম আজ সারাদিনে বিজেপি বিধায়কদের সমস্ত বক্তব্য মোছা হল। স্পিকার জানালেন, ”বিলের উপর আলোচনায় বিজেপির শুধু আজকের গোটা পর্বের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ (মুছে দেওয়া) করা হল।”
বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সেল ট্যাক্স সংক্রান্ত একটি বিলের উপর আলোচনা চলছিল। তাতে নিজেদের বক্তব্য রাখেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ, অশোক লাহিড়ীরা। একগুচ্ছ প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। কিন্তু এদিন নিজেদের বক্তব্য পেশ হয়ে যাওয়ার পরই অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা। তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি ও পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আবেদন জানান, এখনই বিজেপির বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে হবে। কারণ, এটা বারবারই হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে স্পিকার বললেন, ”এই নিয়ে তো রুল আছেই। এরপর একই জিনিস হলে বিরোধীদের সব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করব। এটা অসৌজন্য।”
এদিনও একই ঘটনা ঘটায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের মতো বিজেপির সমস্ত বক্তব্য মুছে দিয়েছেন কার্যবিবরণী থেকে। এনিয়ে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, ”বিরোধী দলের মুখ্যসচেতক শংকর ঘোষ আগেই বলেছিলেন যে ওঁরা বক্তব্য রাখবেন কিন্তু তারপরই অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন। এটা তো অসংসদীয়। আমাদের প্রতি অকারণ অসৌজন্য দেখানো, অপমান করা। ওঁরা প্রশ্ন করবেন, অভিযোগ তুলবেন, অথচ তার জবাব না শুনে বেরিয়ে যাবেন, তাহলে আমরাই বা কেন জবাব দেব? আমাদের জবাব দেওয়ার দায় নেই। আজও তাঁরা একই কাজ করলেন।”
পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ”বিজেপি এতদিন ধরে নানা অসৌজন্য দেখিয়েছে বিধানসভায়। দিনদিন তা বেড়ে যাচ্ছে। এবার তো তাঁরা নিজেদের বক্তব্য রাখার পর সরকারপক্ষের পালটা বক্তব্য রাখার আগেই বেরিয়ে গেল। তাই আমরা স্পিকারকে বলেছি, বিরোধীদের বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করতে। উনি আজকের জন্য তা করেছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.