Advertisement
Advertisement
West Bengal

সাগরে ছড়াচ্ছে বিষ! ‘তৈল দুর্যোগ’ মোকাবিলায় বড় পদক্ষেপ রাজ্যের

ইতিমধ্যেই এবিষয়ে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব।

West Bengal govt takes new initiative to prevent pollution in the sea
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:September 13, 2025 11:22 am
  • Updated:September 13, 2025 12:14 pm   

স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের উপকূল সংলগ্ন এলাকায় কিংবা নদীতে কোনও তৈলবাহী জাহাজ দুর্ঘটনায় পড়লে সেখান থেকে অনেকসময় তেল মিশে যায় জলে। এই ধরনের ঘটনায় দূষিত হয় পরিবেশ। এবার থেকে যাতে এমন দুর্ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তার জন্য একটি পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘অয়েল স্পিল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট’। শুক্রবার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব এবং উপকূল সুরক্ষা বাহিনী ও শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে ‘অয়েল স্পিল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট’ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

এদিকে এদিনই অবৈধ বালি ও পাথর খাদান নিয়ে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিল নবান্ন। এই ধরনের খাদান থেকে বালি তোলা ও তার পরিবহণ কোনওভাবেই বরদাস্ত করবে না প্রশাসন। শুক্রবার এ নিয়ে নবান্নে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে এই বার্তাই দেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সূত্রের খবর, অবৈধ খাদান থেকে বালি ও পাথর তোলা রুখতে ইতিমধ্যেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে নবান্ন। কীভাবে এই ধরনের প্রবণতা বন্ধ করা যায়, তার সুস্পষ্ট গাইডলাইনও রয়েছে। তা পুরোপুরি মেনে চলতে জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। প্রয়োজনে কড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। জেলা পুলিশকে সঙ্গে নিয়েই অবৈধ খাদান থেকে বালি ও পাথর পাচার রোখার উপর জোর দেন মুখ্যসচিব। এদিন বৈঠকে ভার্চুয়ালি হাজির থাকা জেলাশাসকদের সঙ্গে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানেই উঠে আসে খাদানের প্রসঙ্গটি। বালি, ব্ল‍্যাক স্টোন উত্তোলনের বিষয়টি দেখার জন্য রয়েছে মাইনিং অ্যান্ড মিনারেলস ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন। প্রশাসনিক কর্তাদের মতে, অবৈধভাবে বালি তোলায় একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হয়, তেমনই রাজ্য সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্বেরও ক্ষতি হয়। তাই ফের একদফা কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও এদিন স্কুল সার্ভিস পরীক্ষা নিয়েও একদফা আলোচনা হয়। আগামী রবিবার রয়েছে পরীক্ষা। তার আগে এ নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একসঙ্গে মোট ৩৫ হাজার ৭২৬ শিক্ষক নিয়োগ করতে চলেছে রাজ্য। পরীক্ষা হবে দুই দফায়। নবম-দশম শ্রেণির নিয়োগের জন্য প্রথম দফার পরীক্ষা গত রবিবারই হয়ে গিয়েছে। এবং সেই পরীক্ষা হয়েছে একেবারেই নির্বিঘ্নে। এই রবিবার দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা। এবারও যাতে পরীক্ষায় কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি আগাম সেরে নিতে এদিন বৈঠকে নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। পরীক্ষা ঘিরে কড়া নিরাপত্তা রাখার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ