Advertisement
Advertisement
করোনা ভাইরাস

আতঙ্ক রুখতে তৎপর সরকার, করোনো ভাইরাসের পরীক্ষা এবার বেলেঘাটার নাইসেডে

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মাঝেই জোড়া স্বস্তি রাজ্যের।

Govt organize coronavirus identification process through NICED

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 31, 2020 12:52 pm
  • Updated:March 12, 2020 1:16 pm  

গৌতম ব্রহ্ম: চারিদিকে করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন রাজ্যের বাসিন্দারা। কারণ, আজ, শুক্রবার থেকে বেলেঘাটার ‘’-এ চালু হচ্ছে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা। সন্দেহভাজন কোনও রোগীর ‘সোয়াব’ এই কেন্দ্রীয় সংস্থায় বিশ্লেষণ ও পরীক্ষা করা হবে। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয়কুমার চক্রবর্তী।

Advertisement

এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, ভারত সরকার করোনা মোকাবিলায় ভাল ব্যবস্থা নিয়েছে। দ্রুত করোনা নির্ণয়ের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। যেহেতু নোভেল করোনা ভাইরাস একেবারে নতুন। ভাইরোলজিস্টদের সঙ্গে পরিচয় নেই। তাই ভাবা হয়েছিল, ভারতে সাধারণ চলতি উপায়ে এই ভাইরাস নির্ণয় করা যাবে না। এমনকী পুণের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’—তেও এই ভাইরাস নির্ণয় করার পরিকাঠামো ছিল না। একমাত্র উপায় ছিল, আটলান্টা বা চিনে নমুনা ‌পাঠানো। কিন্তু, ভারত সরকার অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা করেছে।

[আরও পড়ুন: একধাক্কায় তাপমাত্রার পারদ নামল ২ ডিগ্রি, মেঘ কাটলেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা কলকাতায় ]

 

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যভবনে বসে স্বাস্থ্যকর্তারা দিল্লির সঙ্গে নোভেল করোনা নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন। সেখানেই নাইসেডের বিষয়টি চূড়ান্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। বাড়তি স্বস্তি দিয়েছে পুণের ‘ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি’। তারা এদিন জানিয়ে দেয়, কলকাতার হাসপাতালে মৃত থাই তরুণী সুরিন নাটকয়ের নমুনায় করোনা ভাইরাসের হদিশ মেলেনি। সোমবার বিকেলে বত্রিশ বছরের থাইল্যান্ড নিবাসী সুরিনের মৃত্যুকে ঘিরে করোনা আতঙ্ক ডালপালা ছড়ায় মহানগরে।

[আরও পড়ুন:‘চোদ্দ পুরুষের ভাগ্য ভাল পোস্টার কেড়ে ছেড়ে দিয়েছে’, তরুণীকে কুরুচিকর আক্রমণ দিলীপের ]

 

গত ২১ জানুয়ারি ই এম বাইপাসের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল সুরিনকে। প্রথম থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছিল তাঁকে। জ্বর, বমি, পেটব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ ছিল তাঁর। যার সঙ্গে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের অনেক মিল ছিল। তাই ঝুঁকি নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবারই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুরিনের শারীরিক অবস্থার কথা স্বাস্থ্য দপ্তরকে মেল করে জানায়। আর বিকেলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

যদিও মৃত্যুর আগেই সুরিনের রক্ত ও ‘সোয়াব’ সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টই বৃহস্পতিবার পুণে থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরের হাতে আসে। এরপরই হাফ ছাড়েন স্বাস্থ্যকর্তারা। খুশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও। ত্রিপুরার এক বাসিন্দার মৃত্যুর পর করোনা আতঙ্ক মাথাচাড়া দিয়েছিল। দিল্লি থেকে প্রতিনিধিদল এসে সরেজমিনে ঘুরে দেখে কলকাতা বিমানবন্দর ও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। তারপর রাজ্যের প্রস্তুতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement