Advertisement
Advertisement
Partha Chatterjee

জামিন মামলার শুনানি শেষ, পুজোর আগে কি জেলমুক্তি হবে পার্থর?

এর আগে ইডির মামলায় জামিন পেয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।

Will Partha Chatterjee get released from jail, hearing ends at Calcutta HC

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 15, 2025 1:00 pm
  • Updated:September 15, 2025 2:40 pm  

 অর্ণব আইচ ও গোবিন্দ রায়: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বিরুদ্ধে শুনানি শেষ। আপাতত স্থগিত রায়দান। তবে এই মামলায় জামিন পেলেই জেলমুক্তি হবে তাঁর। এর আগে ইডির মামলায় জামিন পেয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তবে কি পুজোর আগেই জেল থেকে বেরিয়ে আসবেন তিনি? জবাবের পথ চেয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর অনুরাগীরা। সোমবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ কবে রায় ঘোষণা করেন, সেদিকেই নজর সকলের।

Advertisement

২০২২ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির তল্লাশিতে প্রচুর অর্থ উদ্ধার হয় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে। এরপরই ইডির হাতে প্রথমে গ্রেপ্তার হন অর্পিতা, পরে পার্থকেও গ্রেপ্তার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআই তদন্ত শুরু করার পর থেকেও পার্থকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ বা গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে জেলবন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। বারবার অসুস্থতার কথা বলে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। সদ্য ইডির দায়ের করা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জামিন পেলেও জেলমুক্তি হয়নি তাঁর। কারণ, সিবিআইয়ের মামলার খাঁড়া ঝুলে ছিল।

সোমবার হাই কোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তবে রায়দান আপাতত স্থগিত। জামিন পেলে এবার প্রেসিডেন্সি জেল থেকে মুক্ত হতে পারেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তবে কি ৩ বছর পর পুজোর আগে গারদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন? সেদিকেই নজর সকলের। 

অন্যদিকে, এসএসসি-র নবম দশম শ্রেণির নিয়োগ সংক্রান্ত সিবিআই-এর মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ২৬ জন অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করল আলিপুরে সিবিআই বিশেষ আদালত। সেখানে পার্থর আইনজীবী সওয়াল করেন, একই বানানো অভিযোগ। বিচারকের বক্তব্য, ”আমি যেটুকু কেস ডায়রি দেখেছি, যে কোনও  ক্ষেত্রে ফাইল মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে সেটা হয়নি, সরাসরি এসএসসি ও শিক্ষাদপ্তরে গিয়েছে।” তবে সিবিআই সূত্র জানিয়েছে, এসএসসি চেয়ারম্যান নিয়োগের ক্ষেত্রেই মূলত মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন নেওয়া হয়ে থাকে। সেই বিষয়টি কেস ডায়রিতে উল্লেখ করা হয়েছে।তা শুনে আইনজীবী আবারও বলেন, ”এটা সিবিআই-এর অভিযোগ মাত্র। কোনও নিরপেক্ষ সাক্ষীর বয়ান নেই যে উনি আইনি বা বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত। এটা ভিত্তিহীন অভিযোগ, জামিনের আবেদন করছি।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement