প্রতীকী ছবি
অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরা আর হল না। নবান্নের সামনে ‘বেপরোয়া’ টোটোর ধাক্কায় মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের। শনিবার দুপুরে নবান্নের সামনে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর রীতিমতো শোরগোল শুরু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, মৃত পুলিশ কর্মীর নাম নুপূর চট্টোপাধ্যায়, তাঁর বয়স ৫৩ বছর। ২০১৮ সালে কলকাতা পুলিশের বডিগার্ড লাইনে নিয়োগ করা হয়েছিল তাঁকে। হাওড়ার ডোমজুড়ে মাকড়দহে নুপূরদেবীর বাড়ি। এখন নবান্ন গেটের সামনে তাঁর কর্মস্থল। সেই কারণে শিবপুরের অপ্রকাশ মুখার্জি লেনে বাপের বাড়ি থেকে যাতায়াত করতেন। শনিবার সকালে ১০টা নাগাদ তিনি ডিউটিতে যোগ দেন। দুপুর নাগাদ ছুটি হয়। নুপূরদেবী মন্দিরতলার কাছে ব্রিজের নিচ দিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময়ই ঘটে বিপত্তি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, এমন সময় বেপরোয়া একটি টোটো যাচ্ছিল ব্রিজের নিচ দিয়ে। টোটোটি আচমকা বাঁ দিক থেকে ডানদিকে ঘুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। ধাক্কা দেয় নুপূরদেবীকে। তিনি রাস্তায় পড়ে যান, তাঁর উপর পড়ে যায় টোটোটি। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, টোটোর আঘাতে সিভিক ভলান্টিয়ারের মাথায় গুরুতর চোট ছিল। তাঁকে বাঁচানো যায়নি। মৃতার স্বামী সুপ্রিয় চট্টোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ”এদিন সকাল ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। ১০টা থেকে ডিউটি থাকে। কিন্তু দুপুরবেলাই এই খবর পেলাম ফোনে। আচমকা এমন একটা ঘটনা! ভাবতেই পারছি না।”
পথ নিরাপত্তায় একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। সারা বছর ধরেই চলে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচি। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিভিন্ন জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটছেই। এবার খাস নবান্নের সামনের রাস্তায় এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যুতে আরও স্পষ্ট হল নিরাপত্তার বেহাল দশা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মত, মন্দিরতলার কাছে ব্রিজের নিচে টোটোগুলি প্রায়ই বেপরোয়াভাবে চলে। শনিবার তারই শিকার হলেন নুপূর চট্টোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.