ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: শীতের সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কলকাতা। এবার ঘটনাস্থল বেহালার সরশুনা থানার রাঘদিঘি। বেপরোয়া লরির ধাক্কার প্রাণ গেল এক মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারের। স্বামীর স্কুটারে চড়ে কাজে যোগ দিতে যাওয়ার সময় এই বিপত্তি। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।
নিহত বছর চুয়াল্লিশের সীমা দাস পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার। শনিবার সকালে স্বামীর স্কুটারে চড়ে মুচিপাড়ার দিক থেকে বেহালা চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। রাঘদিঘির কাছে একটি কুকুর স্কুটারটিকে তাড়া করে। তাতে নিয়ন্ত্রণ হারান মহিলার স্বামী। উলটে যায় স্কুটার। রাস্তায় ছিটকে পড়েন দম্পতি। সেই সময় পিছনদিক থেকে বেপরোয়া গতিতে আসছিল একটি লরি। ওই লরিটি রাস্তায় পড়ে যাওয়া সিভিক ভলান্টিয়ারকে পিষে দেয়। মূলত মাথায় গভীর চোট পান তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানান।
দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ওই রাস্তায় যানচলাচল ব্যাহত হয়। তবে ভোরবেলা গাড়ির চাপ কিছুটা কম থাকায়, যানজট অনেকটাই কম হয়। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় ওই রাস্তায় ফের যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। চোখের সামনে নিজের স্ত্রীকে হারিয়ে কার্যত বাকরুদ্ধ ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের স্বামী। দম্পতির পরিবারের সকলে শোকে পাথর।
এর আগে শুক্রবার মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটে হাওড়ার সাঁপুইপাড়ায়। মেয়েকে স্কুলে দিতে যাওয়ার পথে গতির বলি হন মহিলা। প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও টোটোচালক সুমন সাহা, তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া ও মেয়েকে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্কুলের দিকে। আচমকাই পিছন থেকে প্রচণ্ড গতিতে এসে এক বিলাসবহুল চারচাকা গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মারে। ধাক্কার জেরে উলটে যায় টোটোটি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনজন। স্থানীয়দের নজরে পড়তেই তারা আহতদের উদ্ধার করে। তড়িঘড়ি তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয় বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা সুপ্রিয়া সাহাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘাতক গাড়ি ও চালক পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.