সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। তারপরই চাঁদে গ্রহণ লাগবে। এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট অন্ধকারে ডুববে চাঁদ। শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ বলা হচ্ছে একে। আর এই বিরল দৃশ্যের সাক্ষী থাকতে উৎসুক গোটা দেশ। ভারতের প্রায় সব জায়গা থেকেই দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ। আর সেই সময়কালে কুসংস্কার মেনে একাধিক কাজ থেকে বিরত থাকবেন সাধারণ মানুষ। বিজ্ঞান যদিও বলছে, গ্রহণের সময় হালকা খাওয়া-দাওয়া না করার কোনও কারণ নেই। তবে প্রসিদ্ধ ট্যারো কার্ড রিডার একটি বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। তা হল যৌনমিলন। গ্রহণকালে শৃঙ্গার না করার কারণও ব্যাখ্যা দিয়েছেন জ্যোতিষী সোনিয়া ভাগিয়া।
পুরাণ মতে, যখন অমরত্ব পেতে সুর এবং অসুরের মধ্যে সংঘাত হয়েছিল তখন মোহিনী অবতারে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বিষ্ণু। সেই রূপেই বিবাদ মেটানোর প্রচেষ্টা করেছিলেন। সমুদ্র মন্থনে যে অমৃত উঠে এসেছিল, তা পান করেই অমরত্ব প্রাপ্ত হত। আর এ নিয়েই ঈশ্বর ও অসুরদের মধ্যে চলছিল দড়ি টানাটানি। সেই সময় নিজের রূপ ও গুণে পরিস্থিতি সামাল দেন মোহিনী। লাস্যময়ী অবতার ধারণ করে তিনি অমৃত বিতরণের দায়িত্ব নেন। বলেন, প্রথমে তা দেবতাদের দেওয়া হবে এবং পরে পাবেন অসুররা। কিন্তু এই ফাঁদে পা দিতে নারাজ ছিল রাহু। চুপিসারে দেবতাদের পাশে বসে পড়ে অসুর। তবে বিষয়টি চোখে পড়ে যায় সূর্য ও চন্দ্রের। রাহুর মুখোশ টেনে খুলে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। কারণ ততক্ষণে অমৃতের সাধ চেখে ফেলেছে অসুর কূলের রাহু। ধড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলেও তাঁর মৃত্যু হয় না। তাই মনে করা হয়, প্রতিশোধ নিতেই সুযোগ বুঝে সূর্য ও চাঁদকে গ্রাস করে রাহু।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, তাই গ্রহণের সময়কালকে অত্যন্ত অশুভ বলেই মনে করা হয়। গ্রহণকালে অশুভ শক্তি ঘুরে বেড়ায় বলে বিশ্বাস করা হয়। যা মিলনকালে শরীরে ও মনে খারাপ প্রভাব ফেলে। আর ঠিক এই কারণেই জ্যোতিষশাস্ত্র মেনে এই সময়ে মিলনে লিপ্ত না হওয়ার পরামর্শ সোনিয়ার।
সংবাদ প্রতিদিন কোনও কুসংস্কারকে উৎসাহ দেয় না। পরামর্শদাতার বক্তব্যই এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.