অভিষেক চৌধুরী, কালনা: পুজো মানেই পাটভাঙা শাড়ি। আর যদি তা হয় মসলিন? সারাবছর জিনস-টপ পরা তন্বী হোন কিংবা বৃদ্ধা, সকলের পছন্দের তালিকায় বরাবর নিজের দাপট বজায় রেখেছে মসলিন।
দেশ, বিদেশে মসলিনের সুনাম। দুর্গাপুজো (Durga Puja Fashion) উপলক্ষে বিশ্ববাংলার রং বেরংয়ের প্রিন্টেড শাড়ি তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে কালনার সেই মসলিন সুতোর থান (কাপড়)।
বিশ্ববাংলার পক্ষ থেকে এই প্রথমবার সেই থানেরই বরাত পেল কালনার এক সংস্থা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মসলিন থান তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। বাকি থান তৈরিতে দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন তাঁতশিল্পিরা।
কালনার মসলিন এতটাই নরম যে, এক একটি শাড়ি অনায়াসে হাতের আংটি দিয়েও গলে যায়। যা শুধু দেখতেই নয়, কেনার জন্য দেশ-বিদেশের মানুষ ভিড় জমান। এবার পুজোয় মসলিন সুতোর কাপড়ের বরাত পায় কালনার কাদিপাড়ায় কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত কালনা খাদি ও গ্রামীণ শিল্প কার্যালয়।
সংস্থার চেয়ারম্যান তপন মোদক জানান, “দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাজ্য সরকারের বিশ্ববাংলার পক্ষ থেকে এই প্রথমবার ৪০০টি মসলিন কটন থানের বরাত পাওয়া গিয়েছে। মাসখানেক আগে বরাত পাওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ১০০টি থান তৈরি করে বিশ্ববাংলাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। হস্তচালিত তাঁতের মাধ্যমে বাকি থান তৈরিতে তাঁতশিল্পীরা দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “মসলিন কটনের ১১ মিটারের থান দিয়ে বিশ্ববাংলা দু’টি করে শাড়ি তৈরি করছে। এই শাড়ি সাধারণ মানুষের কেনার ক্ষমতার মধ্যেই থাকছে। বর্তমান বাজারে ব্যাপক পরিমাণে প্রিন্টেড শাড়ির চাহিদা রয়েছে। সেই অনুযায়ী মসলিন থানের উপর সেই প্রিন্ট শাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। মসলিনের এই শাড়ি শুধু নরমই নয়, বেশ হালকা ও নজরকাড়া।”
বর্তমানে কাদিপাড়ার হস্তচালিত তাঁতে মসলিনের থান তৈরির জন্য একসঙ্গে ৬০ জন তাঁতশিল্পী কাজ করছেন। দু’ সপ্তাহের মধ্যেই বরাত পাওয়া এই কাজ শেষ করতে হবে বলে জানান প্রধান কারিগর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.