সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জেন জেড দারুণ স্বাস্থ্যসচেতন। একদম ক্যালোরি মেপে খাওয়াদাওয়া, নিয়মিত ঘড়ি ধরে ওয়ার্কআউট। ঝকঝকে লুক বজায় রাখতে কোনও উপায়ই হাতছাড়া করে না। ডায়েটে নিত্যদিন কোনও না কোনও বদল আসে তরুণ-তরুণীদের। তেমনই একটি পরিবর্তন হয়েছে খাবারের একটি উপকরণে। রান্না বা অন্য কোনও খাবার তৈরিতে চিনির বদলে ইদানীং গুড় ব্যবহার করছেন কেউ কেউ। তাতে শরীরে ক্যালোরির পরিমাণও কমে, আবার খাবার নাকি আরও সুস্বাদু হয়। এখন তাই বহু গেরস্থের রান্নাঘরেই সাদা দানা বাদ দিয়ে খয়েরি গুঁড়োর মিষ্টি দেখা যাচ্ছে। কিন্তু জানেন কি এই বিকল্প উপকরণটিও বুঝেশুনে না খেলে চিনি খাওয়ার মতোই বিপদ হতে পারে? গুড়ের সঠিক ব্যবহার তাই জেনে নিন।
কথায় আছে, যত গুড় তত মিষ্টি। আপনি কিন্তু সে কথায় মোটেই ভুলবেন না। খাবারের স্বাদ বাড়াতে ইচ্ছেমতো গুড় ঢাললে বিপদ। পুষ্টিবিদরা চিনি আর গুড়ের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে জানাচ্ছেন, যতই গুড় প্রাকৃতিক মিষ্টত্বে ভরা আর নির্ভেজাল হোক, পরিমিত ব্যবহারই স্বাস্থ্যকর। বলা হচ্ছে, গুড় ‘মেডিসিনাল সুগার’। চিনির চেয়ে গুড়ে ক্ষতি ঢের কম। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ করণ সারিন বিশ্লেষণ করে বলছেন, ”চিনি হল খাঁটি সুক্রোজ (গ্লুকোজের আরেক রূপ)। কিন্তু গুড়ের মধ্যে খনিজ পদার্থ রয়েছে। মিষ্টির পাশাপাশি আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও শরীরে প্রবেশ করে। সেইসঙ্গে গুড় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। তাতে শরীরের ক্যালোরি বার্ন ভালো হয়। কখনও কখনও শুধুমাত্র মিষ্টত্বের উপাদান বাদেও তা ব্যবহার করা হয় পুষ্টিকর উপাদান হিসেবে।”
তাই বলে গুড়ের যথেচ্ছ ব্যবহার মোটেও ঠিক নয়। পুষ্টিবিদ করণের ব্যাখ্যা, ”যাঁদের ডায়বেটিস রয়েছে, নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয় তাঁদের জন্য কিন্তু চিনির মতোই গুড়ও বিপজ্জনক হতে পারে। মনে রাখতে হবে, দিনশেষে আসলে আপনার শরীরে কিন্তু মিষ্টিই ঢুকছে। ক্যালোরির হিসেব করলে ৬৫ থেকে ৯০ শতাংশ সুক্রোজ থাকে গুড়ে, যা প্রায় চিনির সমান। তবে এই উপকরণটি হজম করা সহজ। আর সেখানেই চিনির চেয়ে গুড় এগিয়ে।” সুতরাং, ডায়েটের জন্য গুড় খাচ্ছেন, ঠিক আছে। তবে সবদিক দেখেশুনেই কিন্তু তা খান। নইলে চিনি এড়িয়েও বিশেষ সুবিধা হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.