Advertisement
Advertisement
Sweets

বিজয়ায় মিষ্টিমুখ হোক ভিন্নস্বাদে, ব্যান্ডেলের দোকানে রকমারি মিষ্টির সম্ভার

ফিউশন মিষ্টিতে ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে, মুখে চওড়া হাসি বিক্রেতাদের।

This sweet shop in Bandel makes fusion sweets in Vijaya Dashami
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 3, 2025 6:24 pm
  • Updated:October 3, 2025 6:27 pm   

সুমন করাতি, হুগলি: পুজো শেষে এখন বিসর্জনের বিষাদ চারপাশে। কিন্তু বাঙালির তো বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাই বিজয়া দশমীর মনখারাপ সরিয়ে মিষ্টিমুখে আনন্দ খুঁজে নেয় আমবাঙালি। মিষ্টি, নাড়ু, নিমকি ছাড়া তো বিজয়া পর্ব অসম্পূর্ণ। তাই এই সময়ে মিষ্টির দোকানগুলিতে ভিড়। তবে জেন জি-র স্বাদবদলের কথা মাথায় রেখে ব্যান্ডেলের এক মিষ্টির দোকান এবার তৈরি করেছে রকমারি ফিউশন মিষ্টি। দামও সাধ্যের মধ্যে। বিজয়ার বাজারে সেসবের রমরমা ব্যবসা চলছে। মুখে চওড়া হাসি বিক্রেতার।

Advertisement

বিজয়া দশমীতে ঐতিহ্যের মিষ্টি বলতে রসগোল্লা, সীতাভোগ, মিহিদানা তো আছেই। ব্যান্ডেলের ওই দোকানে এসবের রকমারি সম্ভার। কিন্তু এবছর একটু স্বাদবদলের জন্য আলাদারকম বেশ কিছু মিষ্টি তৈরি করেছেন এখানকার কর্মচারীরা। সেই তালিকায় রয়েছে ডাব সন্দেশ, ক্যাডবেরি রসগোল্লা, কেশর ও ভ্যানিলা রসগোল্লা, রাজনন্দিনী কৈরা ভোগ।

বিক্রেতা শুভেন্দু মণ্ডল জানাচ্ছেন, ”ক্যাডবেরি রসগোল্লা একটু অন্যভাবে তৈরি হয়েছে। রসগোল্লার উপর পুরু করে চকোলেটের আস্তরণ দিয়েছি। ভ্যানিলা রসগোল্লাও তাই। এছাড়া ডাব সন্দেশ বানিয়েছি। সেগুলো খুব ভালো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাড়ু, তক্তি, নিমকি এসবও লোকে প্রচুর কিনছেন। এখনকার মা-বোনরা আর বাড়িতে এসব বানানোর সময় পান না। আমরা সেকথা মাথায় রেখে এসব বিক্রি করছি।” তিনি এও জানালেন, বিজয়ার মিষ্টি ভালোই বিক্রি হচ্ছে। দাম এমন রাখা হয়েছে যাতে ক্রেতাদের অসুবিধা না হয়।

ব্যান্ডেলের এই দোকানে রকমারি মিষ্টির সম্ভার। নিজস্ব ছবি।

মিষ্টি কিনতে এসে এত সব দেখে ক্রেতারা মহা খুশি। অমরেন্দ্রনাথ পাল নামে এক ক্রেতার কথায়, ”সুগার তো আছে। কিন্তু সুগার ফ্রি মিষ্টিও আছে। সেই মিষ্টি খেতেই হবে।” তন্ময় নামে এক ক্রেতা বলছেন, ”হুগলিতে রকমারি মিষ্টি তৈরি হয়। ছানার মিষ্টি, দুধের মিষ্টি, ক্রিম চপ। সেসব তো খেতেই হবে।” আরেক ক্রেতার বক্তব্য, জিনিসের দাম বাড়ছে, মিষ্টির দামও চড়া। কিন্তু বিজয়ায় তো মিষ্টিমুখ করতে এবং করাতে হবেই। কারও বাড়ি গেলে মিষ্টি নিতে হবে। আমার বাড়িতেও কেউ এলে মিষ্টি খাওয়াব। কারণ, আমি কোনও ফাস্ট ফুড দিয়ে কাউকে শুভ বিজয়া বলার পক্ষপাতী নই। তাই এখান থেকে অনেকগুলো মিষ্টি কিনলাম।” সবমিলিয়ে, বিসর্জনের বিষাদ কাটিয়ে মিষ্টিমুখেই আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন ব্যান্ডেলবাসী।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ