সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর ক’দিন জমিয়ে খাওয়াদাওয়া! তবে তা নিয়ম মেনে হওয়ার উপায় কই? একদিকে চলে রাত জেগে ঠাকুর দেখার পর্ব। অন্যদিকে অসময়ে বাইরের স্পাইসি খাবারদাবার খাওয়া। পুজোর পাঁচদিন নিয়ম ভাঙার অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়ায় ছোট-বড় সকলের জন্য। মন মেনে নিলেও, শরীর কেন সইবে এই অত্যাচার? বাইরের ফাস্ট ফুডই হোক বা মশলাদার খাবার, সমস্যা তৈরি করে নিমেষেই। তাই এ সময় গ্যাস-অম্বলে ভোগার সম্ভাবনা থাকে খুব বেশি। পুজোর সময় যাতে অ্যাসিডিটির খপ্পরে পড়ে কাবু না হতে হয়, তার জন্য রইল কিছু ঘরোয়া টিপস। এগুলি মেনে চললেই মুশকিল আসান।
মৌরি: পুজোর কটা দিন খাবার খাওয়ার পর মুখশুদ্ধি হিসেবে মৌরি রাখুন। মৌরিতে রয়েছে অ্যানিথোল যৌগ। এটি আমাদের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। পেটের মধ্যে অ্যাসিডের উৎপাদন কমায়। পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে। ফলে, খাবারে অনিয়ম বা অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া হলেও খুব একটা সমস্যা তৈরি হবে না।
আদা: পুজোর পাঁচদিন নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে আদা ভেজানো জল ফুটিয়ে খান। আদাতে রয়েছে জিঞ্জেরল নামক উপাদান। এটি পাকস্থলীর অ্যাসিড উৎপাদন কমায়। গ্যাস অম্বল দূর করে। তাই, সারারত আদা কুচি জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই জল ফুটিয়ে খেয়ে নিলেই বদহজম নিয়ে আর কোনও দুশ্চিন্তা থাকবে না।
জোয়ান: ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গিয়েছে? আর তাতেই প্রাণ আইঢাই শুরু হয়ে গেছে আপনার! এখন উপায়? কুছ পরোয়া নেহি। পকেটে রাখুন কাঁচা জোয়ান। জোয়ানে রয়েছে থাইমল নামক যৌগ। এটি হজমে সহায়ক উৎসেচক বাড়িয়ে হজমে সাহায্য করে। এছাড়া জোয়ানে থাকা সোডিয়াম শরীরে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। ফলে, অ্যাসিডিটির ভয় থাকে না।
কলা: প্রতিদিন সকালে একটা করে কলা খান। কলা প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিডকে প্রশমিত করতে পারে। আবার অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ফলে সৃষ্ট অস্বস্তি কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
হাতের কাছে এই ক’টি জিনিস রাখলেই হবে। কোনওরকম চিন্তা না বাড়িয়ে পুজোতে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া করুন। অ্যাসিডিটি থেকে চটজলদি রেহাই পেতে এই ঘরোয়া টিপস মেনে চললেই ফল পাবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.