সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার। শুধু হজমে সাহায্য করা নয়, শরীরকে বিষমুক্ত রাখাও তার কাজ। তাই লিভারকে সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলুন। অন্যথায় লিভারে চর্বি জমতে পারে। লিভারে জমা হওয়া এই ফ্যাট রক্তের মাধ্যমে পেশিতে পৌঁছয়। লিভারে অল্প পরিমাণে চর্বি থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু চর্বির পরিমাণ লিভারের মোট ওজনের ৫% এর বেশি হওয়া বিপজ্জনক। রোগ শনাক্তকরণ দেরি হলে এটি ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। প্রাথমিক পর্যায়ে ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে ওষুধের উপরেই ভরসা করা দস্তুর। তবে সম্প্রতি সোশ্যাল হ্যান্ডেলে বিশিষ্ট গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডঃ সৌরভ শেঠি (এইমস, হার্ভার্ড এবং স্ট্যানফোর্ডে প্রশিক্ষিত) এমন তিন পানীয়ের কথা জানিয়েছেন, যা ফ্যাটি লিভারে বিশেষ ভাবে উপকারী। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই তিন পানীয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানান তিনি।
View this post on InstagramAdvertisement
গ্রিন টি: গ্রিন টি-তে থাকা ক্যাটেচিন (বিশেষ করে EGCG) একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি লিভার কোষে হওয়া অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহ কমায়। EGCG শরীরের বিপাকের হার বাড়িয়ে (মেটাবলিজম) চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ফলে লিভারে চর্বি জমার প্রবণতা কমে যায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক, যা ফ্যাটি লিভার কমানোর প্রধান উপায়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নিয়মিত চিনি ছাড়া ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করলে উপকার মিলতে পারে।
বিটের রস: বিটের রসে থাকা বিটালাইন ও বিটেইন লিভার কোষকে সুরক্ষা করে। বিটের রস পিত্ত উৎপাদন বাড়ায় এবং চর্বিকে শক্তিতে রূপান্তরে সাহায্য করে। এর নিয়মিত সেবনে লিভারে চর্বি জমতে পারে না। তাছাড়া লিভারের কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পায়।
কফি: কফি লিভার ফাইব্রোসিস (স্কারিং) এবং চর্বি জমা রোধে সাহায্য করে। কফিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভার কোষের প্রদাহ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে তাকে সুরক্ষা দেয়। নিয়মিত চিনি ও দুধ ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করলে লিভারের এনজাইম উন্নত হয় এবং এটি লিভার ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। দিনে ২-৩ কাপ কফি পান উপকারী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.