সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কম সময়ে খাবার দারুণ ভাবে সিদ্ধ করতে ভরসার একমাত্র সঙ্গী প্রেশার কুকার। ঘরে ঘরে এই পাত্র দীর্ঘকাল যাবৎ ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে এক নতুন তথ্য। জানা যাচ্ছে, অ্যালুমিনিয়ামের কুকার থেকে অজান্তে খাবারে মিশছে সিসা। তামিলনাড়ুর পর এবার মুম্বইয়ে এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে একটি পুরনো মডেলের প্রেশার কুকারে রান্না করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি। গবেষণায় জানা যাচ্ছে, পুরনো অ্যালুমিনিয়ামের প্রেশার কুকারগুলিতে রান্না করার সময় অজান্তে খাবারে মিশছে সিসার মতো বিষ!
খাঁটি অ্যালুমিনিয়ামে কখনওই সিসা থাকে না। তবে পুনর্ব্যবহার করা অ্যালুমিনিয়ামে মিশে থাকতে পারে সিসা। ফলে প্রেশার কুকার কোন অ্যালুমিনিয়াম থেকে কীভাবে তৈরি হচ্ছে তা এক বড় প্রশ্ন! অ্যালুমিনিয়াম ক্ষতিকর না হলেও ভেজাল মেশানো অ্যালুমিনিয়াম কিন্তু বেশ ক্ষতিকর। তাই, সব কুকার নিরাপদ নয়। নিম্নমানের প্রেশার কুকার দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসলে সেক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে। টক বা অ্যাসিড যুক্ত খাবার অনেকক্ষণ ধরে রান্না করলেও কুকারের মধ্যে থাকা ক্ষতিকারক ধাতু সহজেই খাবারে মিশে যায়। আর এভাবেই খাবারের মধ্যে থাকা সিসা জমতে থাকে শরীরে।
শরীরে সিসার ক্ষতিকারক প্রভাব
(১) দীর্ঘমেয়াদী সীসার বিষক্রিয়ায় মাথাব্যথা, স্মৃতির দুর্বলতা এবং শারীরিক ক্লান্তি দেখা দেয়।
(২) সীসা মস্তিষ্কের বিকাশকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।
(৩) শরীরে সীসার উপস্থিতি পেট ব্যথা ও কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে।
(৪) কিডনি সহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও সীসার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
(৫) হাড় দুর্বল হয়ে যায়।
কীভাবে রেহাই পাবেন?
(১) পুরনো কুকার রান্নাঘর থেকে সরিয়ে ফেলুন। এই ধরনের কুকারে রান্না করবেন না।
(২) বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের প্রেশার কুকার ঘরে রাখুন।
(৩) টক বা অ্যাসিডযুক্ত খাবার কুকারে রান্না না করাই ভালো। আর যদি রান্না করতেই হয় তাহলে দীর্ঘক্ষণ কুকারে জমিয়ে রাখবেন না। অন্য পাত্রে ঢেলে রাখুন।
(৪) ভালো মানের অ্যালুমিনিয়াম কুকার সবচেয়ে নিরাপদ। তাই দেখে শুনে কুকার কিনুন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.