সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরমে জেরবার হয়ে অবশেষে স্বস্তি। অক্টোবরের মাঝামাঝি। আর কদিন পর কালীপুজো। আবহাওয়া শুষ্ক হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। মাঝেমধ্যে গরমের গুমোট দেখা গেলেও ভোরের দিকে শিরশিরে ঠান্ডা। আবহাওয়া পরিবর্তনের আমেজ কার না ভালো লাগে? তবে, এই সময় একটু অসতর্ক হলেই অসুখে ভোগার আশঙ্কা থাকে। কারণ, ঋতু বদলের সময়ই সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ে। ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সবচাইতে বেশি। এমনকী এই আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়টাতেই বিভিন্ন ভাইরাস ও ব্যাক্টেরিয়া ঘটিত অসুখের আনাগোনা শুরু হয়। অসুখ হলে চিকিৎসা করানোই দস্তুর। তবে অসুখ হওয়ার আগেই যদি তা রুখে দেওয়া যায়, তাহলে আর ভয়ের কিছু থাকে না। কিন্তু এর জন্য মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। কী কী নিয়ম? চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
ঠান্ডা লাগছে না বলে আমরা অনেকেই এই সময় পাতলা পোশাকই পরে থাকি। কিন্তু গরম পোশাক না পরলেও জামার ভিতর একটি পাতলা গেঞ্জি বা ওই জাতীয় পোশাক পরুন। কিংবা হালকা চাদর গায়ে রাখতে পারেন। লক্ষ রাখবেন দিনের বেলায় গায়ে যেন ঘাম না বসে। সন্ধের পর বাড়ির বাইরে বেরোলে অন্ততপক্ষে কান ঢাকুন। সিজন চেঞ্জের সময় এসি ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। অফিসে থাকলে গায়ে চাদর জড়িয়ে বসুন। ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন। আইসক্রিম খাবেন না। আর যদি নেহাতই খান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জল খান। এতে ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হওয়ার ভয় থাকে না।
শুধু শরীর গরম রাখলেই চলবে না। এই সময় ইমিউনিটি বজায় রাখার জন্য মরশুমি ফল ও শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই হালকা গরম জল পান করুন। পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। সকালে তুলসী, আদা ও গোলমরিচের চা করে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ, ফুড ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে এসময়।সিজন চেঞ্জের সময় ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। তাই, বাইরে বেরোলেই মাস্ক ব্যবহার করুন। খাবার খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত পরিষ্কার করুন। এই নিয়মে চললেই সিজন চেঞ্জেও সুস্থ থাকবে আপনার পরিবারের সকলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.