সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা, মাঙ্কিপক্সের আতঙ্কে ত্রস্ত প্রায় সকলে। এবার নয়া ত্রাস মারবার্গ ভাইরাস (Marburg Virus)। ইবোলা জাতীয় নয়া এই ভাইরাসের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। তাঁরা প্রত্যেকেই ঘানার বাসিন্দা। তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। জেনে নেওয়া যাক গোটা বিশ্বে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী মারবার্গ ভাইরাস সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
মারবার্গ ভাইরাস কী?
অত্যন্ত সংক্রামক এই ভাইরাসটি মূলত ইবোলা গোত্রের। এটি মূলত বাদুরের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা মারবার্গ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
মারবার্গের উপসর্গ
ভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় দিন থেকে উপসর্গে কিছু বদল হতে পারে। সেগুলি হল:
পাঁচ দশক আগে আফ্রিকাতে মারবার্গের সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছিল। এরপর কঙ্গো, কেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, উগান্ডায় মারবার্গ ভাইরাসের প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। সম্প্রতি ঘানায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, মারবার্গ ভাইরাসের থাবায় প্রাণ হারিয়েছেন তাঁরা। দু’জনের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। মৃতদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের উপরেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। তাঁদের শরীরে কোনও লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে কিনা, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছে। চিকিৎসকের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের বাঁচার সম্ভাবনা বেশ কম। ভাইরাসের মারণ ক্ষমতা প্রায় ২৪ থেকে ৮৮ শতাংশ। তাই স্বাভাবিকভাবে মারণশীল ভাইরাস যে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি করছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.