সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইলিশ ছাড়া বাঙালির বর্ষাকালটাই বৃথা। হেঁশেল থেকে ইলিশ ভাজার গন্ধ যতক্ষণ না ছড়িয়ে পড়ছে, ততক্ষণ বর্ষার মাধুর্য উপভোগ করা বাঙালির পক্ষে সত্যিই কঠিন! সর্ষে ইলিশ হোক বা বেগুন দিয়ে পাতলা ঝোল কিংবা পাতুরি সব ক্ষেত্রেই ইলিশ অনবদ্য। বর্ষার ইলিশের ভাগ হয় না। পাতে পড়লে নিজেকে পৃথবীর সবচাইতে সুখী মানুষ মনে হয়। তাই ইলিশ কিনতে গিয়ে পকেট ফাঁকা হলেও পিছিয়ে আসা যাবে না কিছুতেই! তবে শুধু রসনাতৃপ্তিতেই সীমাবদ্ধ নয় জলের এই উজ্জ্বল শস্য। ইলিশের রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগুণ। ইলিশ খেলে শরীরের কোন কোন রোগের ঝুঁকি কমে? কী উপকার পাওয়া যায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
হৃদরোগ প্রতিরোধ
গরম ভাতের সঙ্গে ইলিশ মাছের তেল। সঙ্গে কাঁচা লঙ্কা। একদিকে যেমন জমিয়ে খাওয়া যায় শুধু স্বাদ ও তেলের গন্ধের কারণে, ঠিক তেমনই হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এই তেল। কীভাবে? ইলিশ মাছের তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। আবার একইসঙ্গে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে শরীরকে ফিট রাখে।
চোখের স্বাস্থ্য
ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এই উপাদানগুলি বিশেষ উপকারী। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে ইলিশ মাছের তুলনা হয় না।
বাতের ব্যথায় মুক্তি
শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি দেখা দিলেই অস্টিওআর্থারাইটিস বা সাধারণ বাত রোগ দেখা দেয়। ইলিশ মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকায় এটি বাত রোগের ঝুঁকি কমায়।
হাঁপানি প্রতিরোধ
গবেষণায় দেখা গিয়েছে সামুদ্রিক মাছ ফুসফুসের স্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত উপকারী। যাঁরা নিয়মিত ইলিশ মাছ খান তাঁদের ফুসফুস বেশি শক্তিশালী হয়। এমনকী শিশুদের হাঁপানি সারিয়ে তুলতে পারে ইলিশ মাছ।
ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা
ইলিশে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিন। ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়া ইলিশে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের বলিরেখা ও ফাইন লাইন কমাতেও সহায়ক। নিয়মিত ইলিশ মাছ খেলে আপনার ত্বক থাকবে মসৃণ ও উজ্জ্বল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.