Advertisement
Advertisement
cough syrup

কফ সিরাপ কতটা নিরাপদ আপনার শিশুর জন্য? কেনার সময় এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন

চিকিৎসকদের মতে, ২ বছরের কম বয়েসিদের কফ সিরাপ খাওয়ানো উচিৎ নয়।

How safe is cough syrup for your child? Keep these things in mind when buying
Published by: Buddhadeb Halder
  • Posted:October 9, 2025 3:58 pm
  • Updated:October 9, 2025 3:58 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্প্রতি কফ সিরাপ খেয়ে ভিন রাজ্যে শিশুমৃত্যুর ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সেই জের ধরেই মধ্যপ্রদেশে নিষিদ্ধ হয়েছে বিষাক্ত কাশির সিরাপ ‘কোল্ডরিফ’। যদিও তা আগেই নিষিদ্ধ হয়েছিল তামিলনাড়ু ও রাজস্থানে। যথেষ্ট সচেতনতার অভাবে আমরা প্রায়শই প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিভিন্ন ধরনের কফ সিরাপ কিনে ঘরে রাখি। কিন্তু সেই সিরাপ বাড়ির খুদে সদস্যদের না জেনে খাওয়ালেই ঘটতে পারে বিপদ। চিকিৎসকদের মতে, ২ বছরের কম বয়েসিদের কফ সিরাপ খাওয়ানো উচিৎ নয়। আর যদি খাওয়াতেই হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে মেনে খাওয়ান। এমনকী ওষুধের সঠিক তথ্য যাচাই করে নিয়ে তবেই তা ছোটদের জন্য ব্যবহার করুন। নইলে পরিণতি হতে পারে ভয়ংকর।

Advertisement

How safe is cough syrup for your child? Keep these things in mind when buying

কফ সিরাপ কেনার আগে কী কী যাচাই করবেন?
(১) সবার প্রথমেই নজর দিন কোন ব্র্যান্ডের ওষুধ কিনছেন? ব্র্যান্ড যদি পরিচিত না হয় বা নাম না শুনে থাকেন, তাহলে ভুলেও কিনবেন না। তা সে আপনি যতই সস্তায় পান না কেন। নেট সার্চ করে আগে ভালো করে ব্র্যান্ড সম্পর্কে জেনে নিন। তারপরেই সিদ্ধান্ত নিন।

(২) শুধু কফ সিরাপ নয়, যেকোনও ওষুধের ক্ষেত্রেই ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট দেখে নিন। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কি না কিংবা ওষুধের মেয়াদ আর কতদিন পর্যন্ত রয়েছে তা ভালো ভাবে দেখে তবেই ওষুধটি কিনুন।

(৩) ওষুধের গায়ে থাকা লেবেলটি পড়ুন। খেয়াল করুন কফ সিরাপে প্রপিলিন গ্লাইকন রয়েছে কি না। এই উপাদানটি শরীরের জন্য বিপজ্জনক। এমনকী যে সিরাপে ডাইইথিলিন গ্লাইকন, ইথিলিন গ্লাইকন বা কেডেইন রয়েছে সেগুলিও ক্ষতিকর। অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যালকোহল, কৃত্রিম চিনি প্রভৃতি উপাদান এড়িয়ে চলুন। কফ সিরাপের লেবেলে যদি কোনও উপাদানের নাম না দেওয়া থাকে তাহলে সেই সিরাপ সরাসরি বর্জন করুন।

(৪) কফ সিরাপের গায়ে ‘হু-জিএমপি সার্টিফায়েড’ লেখা আছে কি না যাচাই করে নিন। যদি দেখেন নেই, তাহলে কোম্পানির স্ট্যাম্প বা লোগো থাকলেও সেই ওষুধ কিনবেন না।

(৫) সিরাপ কেনার আগে লাইসেন্স নম্বর দেখে নিন। প্রতিটি সিরাপের ডিএল বা এমএফজি লাইসেন্স নম্বর থাকে। এই নম্বর দেখলে বুঝবেন ওষুধটির গুণগত মান যাচাই করা হয়েছে।

(৬) যেকোনও নামী ব্র্যান্ডের ওষুধেই বারকোড থাকে। এই বারকোড স্ক্যান করলেই কোম্পানির ওয়েবসাইট খুলে যায়। সেখানে আপনি ওই ওষুধটি সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেয়ে যাবেন। যদি বারকোড স্ক্যান করেও ওয়েবসাইট না খোলে তাহলে সেই ওষুধ কেনা থেকে বিরত থাকুন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ