Advertisement
Advertisement
Cancer

শিশুর ব্যথা হালকাভাবে নেবেন না, হতে পারে ক্যানসারও, সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞর

শিশুদের মধ্যে কোন ধরনের ক্যানসারের প্রবণতা বেশি?

Know about the most common type of Bone Cancer in Children
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:May 14, 2024 5:16 pm
  • Updated:May 14, 2024 5:17 pm  

শিশুকালে গা-হাত-পায়ে ব্যথা হলে সহজে নেবেন না বিষয়টা। হতে পারে বড় অসুখ। রক্ত কিংবা ব্রেন ক্যানসারের মতোই সম্ভাবনা রয়েছে বোন ক্যানসারেরও। এ ব্যাপারে আলোকপাত করলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস ক্যানসার হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. সৌমেন দাস। লিখলেন জিনিয়া সরকার

Advertisement

ক্যানসার যদি শিশু শরীরে থাবা বসায় তাহলে চিন্তা আরও অনেক বেশি। পরিবার-পরিজন কূল খুঁজে পান না কী করবেন। যদিও শিশুদের মধ্যে ক্যানসারের প্রবণতা কম। তবে কিছু বিশেষ ধরনের ক্যানসার রয়েছে সেগুলো মারাত্মক হতে পারে এদের জন্য। ব্লাড, ব্রেন, পেটের ক্যানসার যেমন হয়, ঠিক সেরকমই বোন ক্যানসারও হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আমরা যতই মনে করি, বয়স হল ক্যানসারের রিস্ক ফ্যাক্টর। তা কিন্তু সর্বক্ষেত্রে নয়। শিশুদের মধ্যেও বোন ক্যানসারের প্রবণতা রয়েছে। বিশেষত ১০-২০ বছর বয়সিদের ঝুঁকি বেশি। যে সব ক্যানসার ছোট বয়সে হয় তার ১০-১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে হয় বোন ক্যানসার। এই ক্যানসারের নাম চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, অস্টিও সার্কোমা ও ইউয়িং সার্কোমা। শুনতে অবাক লাগলেও, বেশ কয়েক বছরে শিশুদের মধ্যে বেড়েছে বোন ক্যানসারে আক্রান্তের প্রবণতা।

Child-and-Doctor

ঠিক কী হয়?
সাধারণত শরীরে ছোট-বড় অসংখ্য হাড় রয়েছে। বড় হাড় যেমন শিরদাঁড়ার হাড়, পায়ের হাড়। ছোট হাড় হল মুখে বা চোয়ালের হাড়, গলার হাড় অর্থাৎ ফ্ল্যাট বোন। প্রতিটি হাড়ের যে অংশে গ্রোথ হয় সেটার বিজ্ঞানসম্মত নাম মেটাফাইসিস। এই স্থানে ক্রমাগত কোষ বিভাজন চলতে থাকে। ফলত ক্যানসার সেল জন্ম নেয় এই স্থানেই।

কোন স্থানে রিস্ক বেশি?
কোমরের নিচে ও হাঁটুর উপরে যে হাড় আছে, সেই ফিমার বোনে ক্যানসারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া কাঁধের হাড়, ঘাড়ের কাছে অর্থাৎ সেখান থেকে হাতটা শুরু হয়, সেখানেও হয়।

[আরও পড়ুন: অদিতির ‘গজগামিনী’ চলনে কামসূত্রের যোগ! জানুন ভাইরাল ‘হীরামাণ্ডি’ দৃশ্যের রহস্য ]

কী করে বুঝবেন হাড়ের ব্যথা না ক্যানসারের ব্যথা?
বোন ক্যানসারেও হাড়ে ব্যথাই হয়। কারণ, এক্ষেত্রে হাড় বাড়তে থাকে। ব্যথা শুরু হয়। তবে সাধারণ গ্রোথ পেনের চেয়ে এই ব্যথা আলাদা হবে। সাধারণ ব্যথা কিছুদিন পর কমে যায় নিজে থেকেই। কিন্তু ক্যানসারের ক্ষেত্রে কমতেই চাইবে না। সাধারণত তা মাস তিনেক পরও থেকে যায় ও দিনে দিনে ব্যথা খারাপ পরিস্থিতিতে যায়।ক্যানসারের ব্যথা হলে তার সঙ্গে হাঁটতেও অসুবিধা হয়।

এক্ষেত্রে খুব সহজে অর্থাৎ অল্প চোটে বা ধাক্কা লাগাতেই হাড় ভেঙে যায়। যে স্থানে ক্যানসারের ব্যথা হবে সেই স্থান সবসময় ফুলে থাকে। যদি দেখেন সন্তান হঠাৎ করেই হাঁটাচলা কমিয়ে দিয়েছে, হাঁটতে কষ্ট বোধ হচ্ছে, ছোটাছুটি করতে অনীহা, তা হলে সতর্ক হতে হবে।

child 1

রোগ নির্ণয়
এক্স-রে রিপোর্ট থেকে ক্যানসারের প্রাথমিক সম্ভাবনা আঁচ করা যায়। তার পরবর্তী পর্যায়ে ক্যানসার ছড়িয়েছে কি না দেখতে এমআরআই ও সিটিস্ক্যান করার দরকার পড়ে। তারপর বায়োপসি। তবে মাথায় রাখতে হবে ছোটদের বোন ক্যানসার অনুমান করতে বায়োপসি করার দরকার হলে তা কোনও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে না করে সরাসরি ক্যানসার চিকিৎসক দ্বারা
করতে হবে।

পেডিয়াট্রিক অঙ্কোলজিস্ট, সার্জিক্যাল অঙ্কোলজিস্ট অথবা অর্থো অঙ্কোলজিস্ট দ্বারা এই পরীক্ষা সঠিকভাবে করা সম্ভব। না হলে এই ছোট ভুলের কারণে যে ক্যানসারের চিকিৎসা অঙ্গটি রেখেই করা সম্ভব, ভুলের কারণে পা বা যে স্থানের হাড়ে ক্যানসার ধরা পড়ে তা পরবর্তীকালে বাদ দেওয়ারও প্রয়োজন পড়ে। তখন কিন্তু আর কিছু করার থাকে না।

চিকিৎসা কী?
শুধুমাত্র কেমোথেরাপি ও অপারেশন করেই চিকিৎসা করলে ক্যানসার নির্মূল করা সম্ভব। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসার ধরা পড়লে ৬০-৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই ক্যানসার সেরে যায়।
এই ক্যানসার মূলত জিনগত ত্রুটির কারণেই হয়।

ফোন – ৬২৮৯৫৪৮৯৫৫

[আরও পড়ুন: কেন মাতৃদিবসেই ছেলের ছবি পোস্ট করলেন? জানালেন নুসরত]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ