Advertisement
Advertisement
Prescription

গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল সেপসিসে ভুগছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, কতটা মারাত্মক এই রোগ?

যে কোনও সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকুন, সাবধানবাণী চিকিৎসকদের।

Lifestyle News: What is the disease Gastro Intestinal sepsis that Abhijit Gangopadhayay suffers from
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 17, 2025 5:20 pm
  • Updated:June 17, 2025 5:40 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ ষাটোর্ধ্ব অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনদিন হয়ে গেলেও তাঁর শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতির খবর শোনাতে পারেননি চিকিৎসকরা। শহরের নামী হাসপাতালে আইসিইউ-তে ভর্তি বছর তেষট্টির সাংসদ।

অসুস্থ প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নিজস্ব ছবি।

এখন কেমন আছেন তিনি? সূত্রের খবর, তাঁর সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমছে। তবে সমস্যা রয়েছে বিস্তর। ঠিক কোন রোগে আক্রান্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সেই রোগ? প্রাক্তন বিচারপতির শারীরিক অবস্থা দেখে এসব নিয়ে কৌতূহলী জনতা। আসুন, জেনে নেওয়া যাক তার খুঁটিনাটি।

অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেসব উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সেসব বিশদে পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দাবি, তিনি জিআই সেপসিস বা গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল সেপসিসে ভুগছেন। কী এই রোগ? বলা হচ্ছে, মূলত গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল অর্থাৎ অন্ত্রে সংক্রমণ থেকে এই রোগ হয়। কোনওভাবে যদি খাদ্যনালীর মধ্যে দিয়ে অন্ত্রে জীবাণু প্রবেশ করে, তাহলে এই রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।

শরীরের এই অংশে সংক্রমণ হয়।

কী উপসর্গ?
রোগীর ডায়রিয়া, বমি শুরু হলে সহজে সুস্থ হতে পারবেন না। সারা অঙ্গে ধীরে ধীরে সক্রিয়তা কমবে। কমে যাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। যে কোনও সংক্রমণই যেহেতু শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়, এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয় না। রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া, রক্ত জমাট বাঁধাও এর উপসর্গ।

কীভাবে সংক্রমণ?
নানাভাবে মানুষের শরীরে এ ধরনের সংক্রমণ ঘটতে পারে। মূলত শ্বাসনালী দিয়ে জীবাণু ঢুকে খাদ্যনালীতে প্রবেশ করলে সংক্রমণ হতে পারে। আবার খাবারের মাধ্যমেও তা শরীরে ঢুকতে পারে। তবে শরীরে জীবাণু ঢুকলেই যে সেপসিস হবে, তেমনটা নয়। এই ধরনের সংক্রমণ শরীরে কোষে ছড়িয়ে পড়লে তবেই তা মারাত্মক হয়ে ওঠে। একে একে নানা অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ বিকল হতে থাকে।

কতটা বিপজ্জনক এই রোগ?
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সময়ে চিকিৎসকদের কড়া পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে জিআই সেপসিসে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

কাদের সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি?
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের এমনিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকায় তাঁদের দ্রুত কাবু করে ফেলে সংক্রমণ। এছাড়া ডায়বেটিস, ক্যানসার, কিডনির রোগ যাঁদের আছে, ঝুঁকি রয়েছে তাঁদেরও। গর্ভবতী মহিলারাও সেপসিসে আক্রান্ত হতে পারেন। বর্ষার মরশুমে সবসময় সতর্ক থাকার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। বিশেষত খাওয়াদাওয়ার সময় পরিচ্ছন্নতায় জোর দিতে হবে। তবেই অন্ত্র সংক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকা সম্ভব।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement