Advertisement
Advertisement
Prescription Plus

হাতে আঘাতের চিহ্ন, ফুলছে পা! কোন অসুখে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প?

এই অসুখ সম্পর্কে কী বলছেন চিকিৎসকরা?

Prescription Plus: Donald Trump diagnosed with chronic venous insufficiency
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:July 18, 2025 4:11 pm
  • Updated:July 18, 2025 8:33 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জটিল রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)! তাঁর একাধিক ছবি সামনে আসার পর উদ্বেগ বেড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পের হাতে আঘাতের চিহ্ন। ফুলে উঠেছে পা। সোশাল মিডিয়ায় এমন ছবি সামনে আসার পর বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে মুখ খুলেছে হোয়াইট হাউস। দাবি করা হয়েছে, ট্রাম্প ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি নামের অসুখে আক্রান্ত।

Advertisement

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানান, ‘৭৯ বছর বয়সি ট্রাম্পের একাধিক ছবির ভিত্তিতে অনেকেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ মতো চিকিৎসকের একটি নোট শেয়ার করলাম।’ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, বহু মানুষের সঙ্গে করমর্দন ও হৃদরোগ ঠেকাতে অ্যাস্পিরিন নেওয়ার জন্য এই ওষুধ। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর সমস্ত শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল ভালো। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়াও স্বাভাবিক। ফলে বড় কোনও অসুস্থতা নেই তাঁর।

কিন্তু কী এই রোগ ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিসিয়েন্সি? জানা যাচ্ছে, শরীর স্বাভাবিক পক্রিয়ায় পাম্প করে রক্ত পাঠায়। আবার অশুদ্ধ কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত ওই পক্রিয়ায় হৃদপিণ্ডে ফিরে আসে। কোনও কারণে পায়ের শিরা সেই কাজ করতে ব্যর্থ হলে দেখা দেয় সমস্যা। দূষিত রক্ত জমে পায়ের কোনও অংশ ফুলে ওঠে। সাধারণত পায়েই দেখা দেয় এই অসুখ। চিকিৎসকদের দাবি অনুযায়ী, শিরার কর্মক্ষমতা নির্ভর করে ছোট ছোট ভাল্ভের উপর। তা যদি কোনওভাবে আঘাতের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিংবা কোনওভাবে ওখানে রক্ত জমাট বাধে সেক্ষেত্রে এই রোগ হয়। এছাড়া, শিরার সমস্যা থাকলে, ওবেসিটি থাকলে, ধূমপান বা জেনেটিক সমস্যা এমনকী অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীনও এই রোগ হতে পারে।

এই রোগের উপসর্গ হল, প্রাথমিকভাবে গোড়ালি ফুলে যাওয়া ও ব্যথা হওয়া, ব্যথা বেশি হলে দাঁড়াতে বা হাঁটতে সমস্যা, দীর্ঘদিন ধরে এই অসুস্থতার জেরে চামড়ার রং বদলে যায়। চিকিৎসকদের বার্তা, এই রোগের হাত থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত ব্যায়াম, শরীরচর্চা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। সমস্যা গুরুতর হলে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। এই অসুখ গুরুতর না হলেও, ব্যথা বেশি হলে শল্যচিকিৎসাও করতে হতে পারে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ