Advertisement
Advertisement
Prescription Plus

বাড়াবাড়ির আগেই কিওর, প্রোস্টেটের অসুখে সহজ সমাধান ‘PAE’

কী এই নয়া পদ্ধতি? জানুন বিশেষজ্ঞের মত।

Prescription Plus: PAE shows the way in prostate enlargement problems
ad

ডা. অভীক ভট্টাচার্য্য

ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিস্ট

  • Published by: Buddhadeb Halder  |  
  • Posted:September 5, 2025 6:05 pm   |  
  • Updated:September 6, 2025 3:46 pm  

বয়স বাড়ার সঙ্গে শরীরে আসে নানারকম পরিবর্তন। প্রবীণ পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট গ্রন্থি বড় হওয়া, একটি খুব সাধারণ সমস্যা। কিন্তু সতর্ক না হলে এই ‘সাধারণ’ সমস্যাই বাড়িয়ে দিতে পারে বার্ধক্যজনিত নানান অসুবিধা। তাহলে কখন সাবধান হবেন? কী করণীয়? জানালেন ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিস্ট ডা. অভীক ভট্টাচার্য্য।

Advertisement

প্রোস্টেট গ্রন্থি পুরুষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা মূত্রথলির নিচে এবং মূত্রনালির চারপাশে অবস্থান করে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় প্রতিটি পুরুষেরই প্রোস্টেট গ্রন্থি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। এই অবস্থা যখন উপসর্গ তৈরি করে, তখন একে বলা হয় Benign Prostatic Enlargement বা প্রোস্টেট বৃদ্ধিজনিত সমস্যা।

PAE shows the way in prostate enlargement problems

কী লক্ষণ দেখে সাবধান হবেন?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৫০ বছরের পর এই সমস্যা দেখা যায়। প্রোস্টেট বড় হয়ে গেলে এটি মূত্রনালিকে চেপে ধরে, যার ফলে প্রস্রাবের গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হয়। এতে রোগী ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ, রাতে বারবার ওঠা, প্রস্রাব শুরু করতে দেরি হওয়া বা দুর্বল প্রবাহের মতো সমস্যায় ভোগেন। এই উপসর্গগুলো দৈনন্দিন জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে।

ওষুধে কাজ হয়?
সাধারণত প্রাথমিকভাবে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়, কিন্তু অনেক সময় তাতে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে রোগী অসুবিধায় পড়েন। এই অবস্থায় আধুনিক ও কম ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে Prostatic Artery embolization (PAE) বর্তমানে অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি জানুন
Prostatic Artery Embolization (PAE) একটি মাইক্রোইনভেসিভ পদ্ধতি, যেখানে ক্যাথেটারের মাধ্যমে প্রোস্টেটের রক্ত সরবরাহকারী ধমনিতে ছোট কণিকা (microspheres) প্রয়োগ করা হয়। এতে রক্তপ্রবাহ কমে গিয়ে প্রোস্টেট ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত হয় এবং উপসর্গগুলো হ্রাস পায়।

PAE shows the way in prostate enlargement problems

উপকারিতা নানা দিক থেকে
(১) সার্জারির দরকার হয় না, কোনও কাটা-ছেঁড়া নেই।
(২) অল্প সময়ের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা যায়।
(৩) যৌনক্ষমতা ও মূত্রনালির স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় থাকে।
(৪) বেশি বয়স বা অন্যান্য অসুখে ভোগা রোগীদের জন্য নিরাপদ।
(৫) ব্যথাহীন পদ্ধতি।
এই চিকিৎসাটি বিশেষভাবে উপযোগী তাদের জন্য, যারা প্রচলিত সার্জারি করতে পারেন না বা করতে চান না। তবে সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা পরিকল্পনার জন্য অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ ইউরোলজিস্ট বা ইন্টারভেনশনাল রেডিওলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

পরিশেষে
বেলাশেষে অধিকাংশ পুরুষের শরীর এই রোগের আশ্রয়স্থল। সঠিক চিকিৎসা এবং রোগ নির্ণয় একমাত্র দিতে পারে পরিত্রাণ। যদি তা না হয় তবে পরিনাম সুখের হয় না। তাই সকল বয়স্ক মানুষদের কাছে একটাই অনুরোধ রোগ ফেলে রাখবেন না। সঠিক সময়ে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন।

পরামর্শ- 8902242090

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ