সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কোনও পুজো পার্বণে ঘরে ঘরে উপোস করার চল রয়েছে। বাড়ির মা মেয়েরা অনেকেই এই উপোস করে থাকেন। এমনকী বাড়ির বয়স্করাও পুজোর জন্য গোটা দিন উপোস করে থাকেন। সারাদিন ধরে চলে পুজোর জোগাড়। হেঁশেলে রান্না হয় নাড়ু, তালের বড়া, পায়েস থেকে শুরু করে খিচুরি ভোগ প্রভৃতি। সারাদিনের এই ব্যস্ততায় কিন্তু মা-ঠাকুমারা খালি পেটেই সব কাজ করে থাকেন। অথচ এখন ঘরে ঘরে রোগ। সুগার, প্রেশার থেকে শুরু করে অ্যাসিডিটি। তাই, নিয়ম না মেনে উপোস করলে ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ। উপোস করার সময় মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।
নির্জলা উপোস ভুলেও করবেন না। সারাদিন খালিপেটে থাকলে গ্যাসের সমস্যা চাগাড় দিতে পারে। তাই সকালটা শুরু করুন উষ্ণ গরম জলে অল্প লেবুর রস ও সৈন্ধব লবন দিয়ে। কিংবা উষ্ণ জলে লেবু ও মধু মিশিয়েও পান করতে পারেন। এতে শরীরের দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অহেতুক গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনাও কমবে।
ঈশ্বরের আরাধনা করার জন্য উপোস করবেন ভালো কথা। কিন্তু তার জন্য শরীরে জলের অভাব যেন না ঘটে, তা খেয়াল রাখুন। সারাদিনের উপোসে লেবুর শরবত বা ডাবের জল খান। কিংবা ওয়ারেশের জলও খেতে পারেন। এতে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রইবে। সারাদিনে এই তরল খাবারই আপনাকে শক্তি জোগাবে। এছাড়া যদি রোজের ওষুধ থাকে তাহলে তা বেনিয়ম করবেন না।
উপোস ভাঙার পরে খিদে মরে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এই সময় কিছু মুখে দিন। উপোসের কারণে শরীরে এমনিতেই বিপাকক্রিয়ার হার কম থাকে। তাই, ভাজাভুজি বা বেশি তেলমশলার খাবার বাদ দিয়ে হালকা খাবার খান। সাবু, কলা, শশা, খেজুর খেতে পারেন। এতে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে হজমেও সুফল মিলবে। তবে উপোস ভাঙার পর তালের বড়া, নাড়ু বা মিষ্টি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলি বিপদ ডেকে আনতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.