সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লো-ব্লাড প্রেসারের সমস্যা নিয়ে আচমকাই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী শেহনাজ গিল। তাঁর এই অসুস্থতার খবরে স্বাভাবিকভাবেই অনুরাগীরা বিচলিত হয়ে পড়েছেন। এমনকী সোশাল মিডিয়ায় দ্রুত আরোগ্য কামনা করে পোস্ট করতেও দেখা যাচ্ছে অসংখ্য ভক্তকে।
আমরা সাধারণত হাই ব্লাড প্রেশার নিয়ে বেশি মাথা ঘামিয়ে থাকি। উলটো দিকে লো ব্লাড প্রেশার দেখা দিলে ততটাও আমল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না। কিন্তু আমাদের এই অবহেলাই ডেকে আনতে পারে চরম বিপদ। হাই ব্লাড প্রেশারের মতো লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপ নিয়েও আমাদের আগেভাগে সতর্ক থাকা উচিত।
মানব দেহে স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ এমএমএইচজি। যখন রক্তচাপ ৯০/৬০ এমএমএইচজি-এর নিচে নেমে আসে, তখন একে নিম্ন রক্তচাপ বা হাইপোটেনশন বলা হয়।
লো-ব্লাড প্রেশারের লক্ষণ
১. মাথা ঘোরা বা মাথা ঝিমঝিম করা।
২. শরীরে শক্তি না পাওয়া বা দুর্বলতা বোধ করা।
৩. সামান্য কাজেও ক্লান্তি বোধ।
৪. দৃষ্টি অস্পষ্ট বা ঝাপসা হয়ে আসা।
৫. গা-গুলনো ভাব বা বমি পাওয়া।
৬. শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া কিংবা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া।
৭. হাত-পা ও শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
৮. জ্ঞান হারানোর মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
লো-ব্লাড প্রেশারে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
স্বাভাবিক রক্তচাপে শরীরের সমস্ত অঙ্গেই পর্যাপ্ত রক্ত পৌঁছে যায়। এর ফলে অঙ্গগুলি ঠিকঠাক কাজ করতে পারে। তবে কোনও কারণে সিস্টোলিক প্রেশার ৯০ এমএমএইচজি-এর নিচে ও মিন ব্লাড প্রেশার ৬০ এমএমএইচজি-এর নিচে নেমে এলেই ঘটতে পারে বড়সড় বিপদ! কারণ এসব ক্ষেত্রে কিডনি, হার্ট, লিভার, এমনকী ব্রেনেও পরিমানমতো রক্ত পৌঁছোতে পারে না। ফলে অ্যাকিউট কিডনি ডিজিজ থেকে শুরু করে বুকে ব্যথা বা অ্যানজাইনা পর্যন্ত নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকী রোগী মৃত্যুর মুখেও ঢলে পড়তে পারেন।
চিকিৎসা
প্রাথমিক ভাবে ওআরএস-এর জল খেলে সাময়িক ভাবে নিম্ন রক্তচাপে সুফল মেলে। তবে ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়ার সঠিক কারণ খুঁজে বের করা দরকার। তারপরেই সঠিক চিকিৎসা সম্ভব। তাই, এক্ষেত্রে লো ব্লাড প্রেশার হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.